১০টি ভুল যা শকুনির মতো কূটনীতি তোমার ক্ষতি করতে পারে!

 প্রথমেই একটুখানি রিয়েল টক…

তুমি কি কখনো এমন কাউকে চেনো, যে তোমার সামনে হাসে, আর পেছনে ঠিক Netflix-এর “You” সিরিজের মতো প্ল্যানিং করে?
হ্যাঁ, ঠিক সেই ধূর্ত শকুনি মামা টাইপ মানুষ!

তারা মিষ্টি করে কথা বলে, ইনোসেন্ট হয়ে পাশে বসে, আর চোখের সামনে তোমার স্বপ্নের রাজ্যটা একদম ভেঙে দেয় – ধপাস!

 তুমি যদি এখনও বুঝতে না পারো কারা তোমার জীবনে এই শকুনি টাইপ চরিত্র,
তাহলে এই ১০টা ভুল তোমাকে রোজ রোজ ধীরে ধীরে শেষ করে ফেলবে… একদম নিঃশব্দে! 

আজ একটু সতর্ক হও, কারণ এই ব্লগটা তোমার জীবনে Game Changer হতে চলেছে!

১. সবাইকে বিশ্বাস করে ফেলা – “ও তো আমার বেস্টি!”

Reality check, queen!
বেস্টি মানেই কি সবসময় বেস্ট?
অনেকেই তোমার আস্থার সুযোগ নেয়।
তাই একটু ব্রেক নাও, পর্যবেক্ষণ করো, আর বিশ্বাস করার আগে ভালো করে চিন্তা করো।

 TIP: কারো কথায় নয়, তার কাজে বিশ্বাস রাখো!

২. তোমার সিক্রেট নিজেই সবাইকে বলে বেড়ানো

তুমি কি “আমার আর ওর মাঝে কোনো গোপনীয়তা নেই” টাইপ মানুষ?
Well, guess what? একদিন তোমার সেই “ও” তোমার সিক্রেট দিয়ে পুরো টাউন ফায়ার করে দেবে! 

 TIP: Not everyone deserves a front-row seat in your life’s drama.

৩. নিজের সাফল্যে গিলটি ফিল করা

“আমি ভালো করলাম… কিন্তু সবাই তো বলবে আমি ভাগ্য করে পেয়েছি!”
Stop it right there.
শকুনিরা তোমার এই ইনসিকিউরিটি নিয়ে খেলবে! তারা তোমাকে সাফল্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।

 TIP: তোমার shine কে shine করতে দাও। বাকি সব noise কে মিউট করো!

৪. নকল হাসির সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করা

জানো, “ক্যাম্পাস কুইন” হবার লোভে আমরা অনেক সময় নকল মানুষদের সঙ্গ নিই?
শকুনিরা এটাই চায় – তোমার authentic self হারিয়ে যাক!

 TIP: Real vibes only. Breathe out fake energy!

৫. “না” বলতে না পারা – কারণ তুমি তো ভদ্র মেয়ে!

শকুনি মানুষরা বুঝে ফেলে তুমি না বলতে পারো না,
আর তখনই শুরু হয় তাদের কূটনীতি।
তারা তোমার ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবে।

 TIP: “না” বলা একধরনের সেল্ফ-রেসপেক্ট। এটা প্র্যাকটিস করো।

৬. সবাইকে খুশি করতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাওয়া

তুমি কি “people pleaser”?
তাহলে শকুনিরা তোমাকে নাচিয়ে ছাড়বে, কারণ তুমি না বলতেই পারো না!

 TIP: তোমার mental peace-এর দাম তোমার social score-এর থেকেও বেশি!

৭. তোমার সাফল্য গোপন রাখা – “ওরা ঈর্ষা করবে” বলে

তোমার sparkle কে যদি তুমি নিজেই ঢেকে রাখো,
তাহলে শকুনিরাই shine করবে!
তারা চায় তুমি নিজের value না বোঝো।

 TIP: গর্ব করে বলো তুমি কী করছো। Inspiration হো, Target নয়!

৮. দুঃখে পড়ে যাকে তাকে ভরসা করা

তুমি কান্না করছো… আর শকুনি ভাবছে,
“Wow, এখনই Perfect Time ওকে ভাঙার!”
Emotional moment গুলোতে ভীষণ সাবধানে থেকো, প্লিজ!

 TIP: তোমার চোখের জল যার সামনে ফেলে রাখবে, সে যেন তোমার কষ্টকে weapon না বানায়।

৯. তোমার intuition কে ignore করা – “মনটা তো খারাপ লাগছে, কিন্তু…”

তোমার মন যখন warning দেয়, তখন সেটা সিরিয়াসলি নাও।
শকুনিরা সবসময় ইন্টুইশনকে challenge করে।
তোমার gut feeling হলো তোমার ভেতরের জাদুকরী বানী।

 TIP: তুমি যেটা “odd” মনে করো, সেটাই হয়তো reality!

১০. নিজেকে ছোট ভাবা – “আমি তো এমন কিছুই না…”

This is exactly what they want you to think.
তোমার low self-esteem-এই শকুনিদের oxygen!
তারা তোমার কনফিডেন্স খেয়ে ফেলবে… ঠিক ভ্যাম্পায়ারের মতো! 

 TIP: নিজের জন্য নিজেই cheerleader হও। কাউকে দাও না তোমার worth নির্ধারণ করতে।

 এখন তোমার পালা!

তুমি কি এর মধ্যে কোনো ভুল রোজ করছো?
তুমি কি চিনতে পারছো তোমার জীবনের সেই “শকুনি” মানুষটাকে?
  নিচে কমেন্টে জানাও!

আর হ্যাঁ, এই ব্লগটা তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড, সিস্টার, বা যেকোনো সেই মেয়েটার সাথে শেয়ার করো –
যে এখনো ভেবেই যাচ্ছে,
“না না, ও তো খারাপ না… ও তো আমার খুব আপন…” 

Because girl, তোমার সেফটি, সাকসেস, আর স্মার্টনেস তোমার হাতেই! 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top