১০টি শিক্ষা কৃষ্ণের মতো বাস্তববাদী হওয়ার!

 তুমি কি জীবনের সমস্যাগুলোতে বারবার থেমে যাচ্ছো?

আচ্ছা বলো তো, তোমার জীবনে এমন কখনো হয়েছে কি, যখন মনে হয়েছে, ‘কেন জীবনের প্রত্যেকটা সমস্যায় আমি এতই হাবুডুবু খাচ্ছি?’ তুমি যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ দাও, তবে কৃষ্ণের জীবনী তোমার জন্য একেবারে পারফেক্ট গাইড হতে পারে!

কৃষ্ণ! হ্যাঁ, আমাদের সেই মাখন-চোর, বাঁশির সুরে মন মোহিত করা কৃষ্ণ! তবে শুধু প্রেমে নয়, বাস্তববাদীতাতেও তিনি মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তাঁর জীবন থেকে যদি একটু বাস্তববাদী শিক্ষাও নিতে পারো, জীবন তোমার কাছে চকোলেট কেকের মতো সহজ মনে হবে!

 ১. সমস্যায় পালিও না, মোকাবেলা করো!

কৃষ্ণ কখনোই সমস্যার সামনে হেরে যাননি। মাতৃগর্ভেই তাঁকে মৃত্যু ভয় দেখিয়েছিল কংস, কিন্তু কৃষ্ণ এসেই সব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। সাপ কালীয় দমন থেকে কংস বধ পর্যন্ত, তিনি বরাবরই ছিলেন নির্ভীক। তাই, সমস্যার সামনে ভীত না হয়ে বরং ‘চ্যালেঞ্জ এক্সেপ্টেড!’ বলে এগিয়ে যাও!

 ২. বাস্তবতাকে মেনে নাও

কৃষ্ণ জানতেন, জীবন সবসময় মাখন-মিষ্টি নয়। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি অর্জুনকে বলেছিলেন, ‘জীবনের এই যুদ্ধ তোমাকে করতেই হবে।’ তাই, যখন পরীক্ষায় ভালো নাম্বার না আসে বা ব্রেকআপ হয়ে যায়, তখন কৃষ্ণের মতো বলো, ‘সবই লীলা’, এবং বাস্তবতাকে হাসিমুখে মেনে নাও!

 ৩. নিজেকে ভালোবাসো (যতই ড্রামা চলুক না কেন!)

রাধার সাথে কৃষ্ণের প্রেম পৃথিবী জানে, কিন্তু তিনি কখনোই নিজের সত্তাকে হারাননি। তোমার জীবনে যতই ড্রামা চলুক, নিজের গুরুত্ব বুঝো। নিজেকে ভালোবাসো এবং কখনো নিজের মূল্য কমিয়ে দেখো না!

 ৪. বন্ধুত্বে দারুণ হও

সুদামার সাথে কৃষ্ণের বন্ধুত্বের গল্পটা জানো? স্রষ্টা হয়ে তিনি বন্ধুর জন্য মুঠো ভর্তি ভালোবাসা দিতে কুণ্ঠিত হননি। কাজেই, তোমার বন্ধুরা যখন সমস্যায় পড়বে, কৃষ্ণের মতোই পাশে থেকো!

 ৫. কৌশলী হও

কুরুক্ষেত্রে যখন পরিস্থিতি জটিল হয়েছিল, কৃষ্ণ তাঁর কৌশল ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পাণ্ডবদের বিজয়ী করেছিলেন। তাই, যখন জীবনের পরীক্ষাগুলো খুব কঠিন হয়ে ওঠে, তখন শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়, বুদ্ধির খেলা খেলো!

 ৬. নিজেকে গড়ে তোলো

কৃষ্ণ শুধুই প্রেমের দেবতা নন, তিনি একজন দার্শনিক, রাজনীতিবিদ এবং যোদ্ধাও ছিলেন। তাই, তুমি শুধু পড়াশোনা বা কেরিয়ারেই সীমাবদ্ধ থেকো না। নাচ, গান, আঁকা, যেটা তোমার ভালো লাগে, সেটাতে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাও!

 ৭. সামঞ্জস্য বজায় রাখো

কৃষ্ণ যেমন বৃন্দাবনের মিষ্টি প্রেমিক, তেমনি দ্বারকার রাজাও! তিনি জীবনের প্রতিটি ভূমিকায় দক্ষ ছিলেন। তুমিও তোমার জীবনের প্রতিটি দায়িত্ব সামলাতে শিখো, চাই সেটা স্কুল হোক, পরিবার হোক, বা বন্ধুত্ব!

 ৮. নেতিবাচকতাকে ‘না’ বলো!

কংসের মতন মানুষের কথায় কৃষ্ণ কখনোই থেমে যাননি। জীবনে নেতিবাচক মন্তব্য, হিংসা, এবং নেগেটিভ ভাইবকে ‘ব্লক’ করে দাও।

 ৯. নিজের সুর তাল বজায় রাখো

যে কোনো পরিস্থিতিতে কৃষ্ণ তাঁর বাঁশির সুরে মানুষকে শান্ত করেছেন। তুমিও তোমার শান্তি বজায় রাখো। ইয়োগা, মেডিটেশন, বা মিউজিক, যেটাতে তোমার মন শান্ত থাকে, সেটাই করো!

 ১০. মজায় থেকো!

কৃষ্ণের জীবন মানেই আনন্দ! ছোটবেলায় তাঁর মাখন চুরি, গোপীদের সাথে মজা, রাধার সাথে প্রেম, সবটাই ছিল জীবনের অংশ। তাই, জীবনকে খুব বেশি সিরিয়াসলি না নিয়ে, মজা করো, হাসো, আর বাঁচো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top