হ্যাঁ, আমি জানি, এই প্রশ্নটা কড়া লাগতে পারে, কিন্তু সত্যটা হলো, জীবনে দূরদর্শিতা না থাকলে তুমি হারিয়ে যাবে। তুমি কি সত্যবতীর মতো বুদ্ধিমতী ও দূরদর্শী হতে চাও? তাহলে তোমার জন্য আছে এই ১১টি শিক্ষা, যা তোমাকে করে তুলবে আসল গার্লবস!
১. তোমার পরিকল্পনা তোমার অস্ত্র
কিছুই অজানা রেখে দেবে না সত্যবতী! সে জানতো ঠিক কখন কী বলতে হবে, কাকে বোঝাতে হবে, আর কীভাবে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে হবে। তাই, জীবনে “যা হবে দেখা যাবে” নীতি বাদ দাও। তোমার লক্ষ্য সেট করো, প্ল্যান বানাও, আর সেই অনুযায়ী এগিয়ে যাও!
২. আবেগের দাস নয়, নিয়ন্ত্রক হও!
সত্যবতী নিজের আবেগকে কখনো তার দুর্বলতা হতে দেয়নি। সে বুঝেছিল, আবেগ থাকা ভালো, তবে নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তুমি নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে! তাই, অন্যের কথায় কষ্ট পেয়ে কান্নাকাটি করো না, বরং সেই শক্তিকে নিজের উন্নতির জন্য ব্যবহার করো!
৩. নেগেটিভ মানুষের থেকে দূরে থাকো!
যারা সবসময় তোমাকে টেনে নিচে নামাতে চায়, তাদের থেকে মুক্তি পাও। “তুমি পারবে না” বলার লোকের অভাব নেই, কিন্তু তুমি পারবে কি না, সেটা তোমার হাতেই।” সত্যবতী জানতো কার সঙ্গে থাকতে হবে আর কাকে দূরে রাখতে হবে।
৪. আত্মবিশ্বাস: না থাকলে বানিয়ে ফেলো!
সত্যবতীর আত্মবিশ্বাস ছিল আকাশচুম্বী! তুমি যদি নিজেই নিজের ওপর বিশ্বাস না রাখো, তাহলে অন্য কেউ রাখবে কেন? আত্মবিশ্বাস জন্মগত কিছু নয়, বরং চর্চার বিষয়, তাই আজ থেকেই শুরু করো!
৫. সময়ের আগে কিছুই বোলো না!
সত্যবতী কখনো নিজের বড় পদক্ষেপের কথা আগেভাগে বলে ফেলেনি। সে জানতো, মানুষের নজর লাগলে প্ল্যান মাঠে মারা যেতে পারে! তাই, বড় কিছু করার আগে সেটাকে নিখুঁত করে তোলার জন্য গোপন রাখো!
৬. নিজের মূল্য বোঝো!
তুমি যদি নিজেকে কম মূল্য দাও, তাহলে অন্যরা তো আরও বেশি অবহেলা করবে। তুমি গুরুত্বপূর্ণ, তুমি অসাধারণ, তুমি নিজের গল্পের নায়িকা! তাই কারো খারাপ মন্তব্যে হতাশ হয়ো না, বরং নিজের মূল্যায়ন করো!
৭. তোমার জ্ঞানই তোমার সুপারপাওয়ার!
সত্যবতী জানতো জ্ঞানের শক্তি কতোটা মূল্যবান। তোমার মস্তিষ্ক যদি শূন্য থাকে, তাহলে তুমি কেবল অন্যের পরিচালিত একটা পুতুল! তাই বই পড়ো, জানো, শেখো, যত জানতে পারবে, তত শক্তিশালী হবে!
৮. দয়া করো, কিন্তু বোকার মতো নয়!
সত্যবতী সদয় ছিল, কিন্তু সে বোকার মতো সুযোগ নিতে দিতো না। সবাইকে সাহায্য করো, কিন্তু যখন কেউ তোমার দয়াকে দুর্বলতা মনে করবে, তখন তাকে দেখিয়ে দাও কে আসল প্লেয়ার!
৯. “না” বলতে শেখো!
সবকিছুর জন্য “হ্যাঁ” বলা তোমার জীবন ধ্বংস করতে পারে। সত্যবতী জানতো কখন না বলতে হয়। তাই, যা তোমার পক্ষে ভালো নয়, সেটা করতে বাধ্য হয়ো না। নিজের সীমারেখা ঠিক করো!
১০. সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নাও!
জীবনটা দাবা খেলার মতো, একটা ভুল চাল, আর তুমি শত্রুর হাতে ধরা পড়ে গেলে! তাই আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নাও। আগে ভাবো, তারপর অ্যাকশন নাও!
১১. তুমি তোমার নিজের হিরো!
শেষ পর্যন্ত, সত্যবতী কারও জন্য বসে থাকেনি, সে নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করেছে! তুমিও পারবে, কিন্তু তার জন্য তোমাকে সাহসী হতে হবে, বুদ্ধিমতী হতে হবে, আর কখনোই হাল ছাড়তে পারবে না!