১১টি শিক্ষা সত্যবতীর মতো দূরদর্শী ও বাস্তববাদী হওয়ার! 

বন্ধু, তুমি সত্যবতী হতে চাও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,  কেন সত্যবতী?

না, কারণ সে কোনও ড্রামা-কুইন ছিল না। সে ছিলো স্ট্র্যাটেজি-কুইন! জ্ঞান, সাহস, আর এক্সেল ফাইল লেভেলের বাস্তবতা মিশিয়ে, সে নিজের লাইফকে এমনভাবে গুছিয়েছে, যা দেখে আজকের কর্পোরেট বসরাও মাথা নত করে।

তাই যদি তুমি এখনো ‘সিন্ডারেলার জুতো’ খুঁজে বেড়াও বা প্রেম মানেই প্রাইরিটি ভাবো, তাহলে এই লেখাটা তোমার জন্য ওয়েক-আপ কল।

এবার শুরু হোক রিয়েল গার্ল গেম!

১. হ্যাঁ, প্রেম করো… কিন্তু আগে নিজের সাথে!

সত্যবতী জানত,  যদি নিজের সাথে কনফিডেন্ট রিলেশন না থাকে, বাকি সব ভেঙে পড়ে।
তাই প্রেমের আগে নিজের স্বপ্ন, লক্ষ্য, সেল্ফ-কেয়ার আর বাউন্ডারি তৈরিটা সেরে ফেলো।

২. বুদ্ধি থাকলে বিউটি অটোমেটিক ফ্লো করে

হ্যাঁ, মেকআপ ভালো জিনিস। কিন্তু যদি মাথায় বুদ্ধির হাইলাইটার না থাকে, তাহলে লাইফের ফাউন্ডেশনটাই ভেঙে পড়ে।
সত্যবতী beauty with brains ছিল না, সে ছিল brains with optional beauty

৩. “না” বলা এক ধরনের সুপারপাওয়ার

দয়ালু হও, কিন্তু doormat না।
সত্যবতী সবার মন রাখেনি, নিজের মনটা আগে রেখেছে। হ্যাঁ, কিছু মানুষ কষ্ট পায়, কিন্তু সে জানত,  কিছু কষ্ট-প্রুফ ডিসিশনেই ভবিষ্যৎ তৈরি হয়।

৪. প্ল্যান B নয়, সত্যবতী প্ল্যান Z পর্যন্ত প্রস্তুত রাখত

তোমার জীবনে একটা পরীক্ষায় ফেল মানে জীবন শেষ না। সত্যবতী জানত, বিকল্প থাকাটা দুর্বলতা নয়, দূরদর্শিতা।
তাই তুমি যদি এখনই একটা ব্যাকআপ না রেখো, জীবন তোমায় ব্যাকআপ বানাবে!

৫. আবেগে ভেসো না, ক্যালকুলেটেড ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলে দাঁড়াও

চোখে জল? চলুক। কিন্তু সেটা তখনই ফেলো, যখন জানো কার সামনে ফেলা নিরাপদ।
সত্যবতী তার আবেগেরও ম্যানেজার ছিল। Feel it, but don’t let it hijack your life.

৬. বাস্তবতা কড়া, তাই তোমার মনও হোক স্টিল-কোডেড

পছন্দের কলেজে চান্স পাওনি? ক্রাশ রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করল না? জীবন থেমে যাবে? না রে ভাই!
সত্যবতী জানত,  জীবন মানে চ্যালেঞ্জের সিলেবাস, আর নিজেকে তৈরি রাখাটা হোমওয়ার্ক।

৭. সবাইকে খুশি করতে গেলে, তুমি নিজেই হারিয়ে যাবে

সত্যবতী মানুষকে খুশি করতে নয়, পরিস্থিতিকে কন্ট্রোল করতে জানত।
সবার ভালোবাসা চাইলে তুমি সবাইকে “আন্টি” বলেই শুনবে।

৮. চুপ থাকা মানে সবসময় দুর্বলতা নয়, এটা একধরনের প্লট টুইস্ট!

তুমি সবসময় কথা বলো না মানে তুমি কিছুই জানো না, এমন না।
সত্যবতী জানত কখন কথা বলতে হয়, আর কখন নিঃশব্দে সবাইকে চমকে দিতে হয়।

৯. সেলফ-রেস্পেক্ট কুইন হও, দরকার পড়লে একা থাকো

সত্যবতী কাউকে ধরে রাখেনি। কারণ সে জানত, আপনার যদি নিজেকে সম্মান করার সাহস না থাকে, তাহলে পৃথিবী আপনাকে ব্যবহার করবে।

১০. জীবন একটা গল্প, আর তুমি লেখিকা। কাঁদুনি চরিত্রে নিজেকে ফেলো না!

তুমি ভিকটিম না, তুমি হিরোইন। আর হিরোইনেরও ক্লাইম্যাক্স থাকে। সত্যবতী লিখেছে নিজের ক্লাইম্যাক্স নিজে।
তোমারটা কে লিখবে?

১১. “সত্যবতী”- হওয়া মানে চুপচাপ থাকা নয়, এটা একধরনের সাইলেন্ট ডমিনেশন!

তুমি যদি মনে করো সত্যবতী মানেই সাদাসিধে, তাহলে ভুল।
সে ছিল অদৃশ্য দাবার চালের মাস্টার। তার নীরবতাও ছিল থান্ডার।

 শেষ কথা (আর এটা মিস করো না)

প্রতিদিন তুমি হয় বেছে নিতে পারো সত্যবতী হওয়া, না হয়… সেসব মেয়েদের মতো হওয়া যারা কাঁদে কারণ তাদের Instagram reel-এ কেউ লাভ রিয়্যাক্ট দেয়নি।

তুমি কোনটা হবে? সত্যবতী না সাইলেন্ট সিসি?
  কমেন্টে বলো,  “আমি আমার লাইফের স্ট্র্যাটেজিস্ট” যদি তুমি সত্যবতী মোডে ঢুকতে চাও আজ থেকেই!

আর যদি পোস্টটা মনে ধরে, শেয়ার করো তোমার BFF-এর সঙ্গে,
কারণ সত্যিকারের বুদ্ধিমতী গার্লরা নিজেরা জ্বলে, আর বাকি গার্লদেরও জ্বালাতে জানে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top