তুমি কি সাহসী হতে চাও, কর্ণের মতো? সেই কর্ণ, যিনি মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়েও মাথা নত করেননি! ভাবছো, ওমা! এ তো সহজ কথা নয়! হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছো! তবে মজার ব্যাপার, কর্ণের মতো সাহসী হওয়া একদমই অসম্ভব নয়! বিশ্বাস হচ্ছে না? চলো, মজা করে শিখে নিই কর্ণের মতো সাহসী হওয়ার ৫টি সহজ উপায়!
১. সত্যের পথে অবিচল থেকো!
কর্ণ কখনো মিথ্যার আশ্রয় নেননি। মনে রেখো, সত্যের পথে চললে সাময়িক সমস্যায় পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে বিজয় তোমারই হবে। তাই প্রলোভন এলে বলো, ‘নো, থ্যাংকস!’ সত্যি বলার সাহস তোমাকে কর্ণের মতো অদম্য করে তুলবে!
২. তোমার স্বকীয়তাকে ভালোবাসো!
কর্ণ ছিলেন সূর্যপুত্র। কিন্তু তিনি সারা জীবন এক রথচালকের সন্তান হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবুও তিনি নিজের পরিচয় লুকোননি। তুমিও তোমার যেই পরিচয়ই থাকুক, সেটাকে ভালোবাসো। তুমি যেমন, ঠিক তেমনই থাকো!
৩. অন্যায়ের প্রতিবাদ করো!
কর্ণ দুঃশাসনের হাত থেকে দ্রৌপদীকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তাই যখনই তুমি অন্যায় দেখো, চোখ বন্ধ করে থেকো না! সাহস নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াও! মনে রেখো, সাহসী মেয়েরাই সমাজ বদলায়!
৪. বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দাও!
কর্ণ আর দুর্যোধনের বন্ধুত্বের গল্প তো সবাই জানে। যদিও দুর্যোধন ছিলেন ভুল পথে, তবুও কর্ণ বন্ধুর প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। তবে মনে রেখো, তোমার বন্ধুত্ব যেন সবসময় ন্যায়ের পথে থাকে!
৫. নিজের শক্তিতে বিশ্বাস রাখো!
কর্ণ ছিলেন একজন অসাধারণ যোদ্ধা। তিনি জানতেন, তাঁর শক্তি কোথায় এবং কীভাবে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। তুমিও নিজের শক্তিকে চেনো এবং সেটাকে কাজে লাগাও। অন্যের সাথে তুলনা নয়, বরং নিজের সেরা সংস্করণ হও!
শেষ কথা: কর্ণের মতো সাহসী হওয়া কোনো জাদুর ছোঁয়া নয়। এটি তোমার মানসিক শক্তি, সত্যের প্রতি আনুগত্য, এবং নিজের উপর বিশ্বাস থেকে আসে।