ধৈর্য ধরতে না পারলে, জীবন যেন ইনস্টাগ্রামের রিলসের মতো, সেকেন্ডে সেকেন্ডে বদলে যায়, মনোযোগও যায় উড়ে! কিন্তু মেয়েটি যদি কুন্তীর মতো ধৈর্যশীল হয়, তবে? উফফ! জীবন তখন রাজসূয় যজ্ঞের মতোই পরিপূর্ণ।
কুন্তী, মহাভারতের সেই কিংবদন্তী মা, যার ধৈর্য ছিল পাহাড়ের মতো, হিমালয়ের থেকেও শক্ত। তার জীবনের ঝড়-ঝাপটা শুনলেই মাথা ঘুরবে, কিন্তু সে ছিল স্থির। ভাবছো কিভাবে? আজকে তোমাদের শিখিয়ে দেব কুন্তীর মতো ধৈর্যশীল হওয়ার ৫টি অব্যর্থ টিপস!
১. “স্বীকার কর, মেনে নাও!”
কুন্তীর জীবনে সমস্যার লাইন যেন কখনও শেষ হতো না। কিন্তু সে সবসময় পরিস্থিতি মেনে নিতো। মনে রাখো, সবকিছুই তোমার হাতে নেই। যখন পরীক্ষার রেজাল্ট ইচ্ছামতো না আসে, বা তোমার ক্রাশ তোমার মেসেজ ‘সিন’ করেও রিপ্লাই না দেয়, তখন কুন্তীর মতো স্বীকার করো, “হ্যাঁ, এটা হয়েছে, কিন্তু আমি ঠিক আছি!”
২. ধৈর্যের শ্বাস-প্রশ্বাস
কুন্তী কখনও হটকারি সিদ্ধান্ত নিতো না। তার জীবনের বড় বড় সমস্যায়ও সে ধৈর্য ধরে ভাবতো। তাই তুমি যখনই রেগে যাও বা হতাশ হয়ে পড়ো, তখন এক মিনিট চোখ বন্ধ করে শ্বাস নাও। ওমমম… দেখবে, ধৈর্যের ভাণ্ডার একটু একটু করে ভরছে!
৩. ‘না’ বলতে শিখো
কুন্তী নিজের এবং তার পরিবারের জন্য অনেক ‘না’ বলতে শিখেছিল। যখন তোমার বন্ধুরা রাত জেগে সিরিজ দেখতে বলে, কিন্তু সকালে তোমার প্রেজেন্টেশন, সেখানে ‘না’ বলা শেখো! এটা তোমার মেন্টাল পিস এবং ধৈর্যের জন্য জরুরি।
৪. নিজের জন্য সময় নাও
কুন্তীর মতো নিজের সময়কে গুরুত্ব দাও। ব্যস্ত জীবনে একটু নিজের জন্য সময় রাখো, বই পড়ো, গান শুনো বা নেটফ্লিক্স দেখো। “মি টাইম” হলো তোমার ধৈর্যের বুস্টার ডোজ!
৫. ভক্তিতে খুঁজে পাও শান্তি
কুন্তীর ধৈর্যের মূল ছিল তার ভক্তি ও বিশ্বাস। তুমি যেকোনো কিছুর প্রতি ভক্তি রাখতে পারো, ঈশ্বর, প্রকৃতি, বা তোমার নিজের স্বপ্ন। প্রতিদিন একটু ধ্যান বা প্রার্থনা করো, দেখবে মানসিক স্থিরতা বেড়ে যাবে।
শেষ কথা
ধৈর্য হলো সেই গোপন মশলা, যা তোমার জীবনের সব সমস্যার ঝোলকে সুস্বাদু করবে। কুন্তীর মতো ধৈর্যশীল হওয়া কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
তো, তোমার জীবনের কোন পরিস্থিতিতে তুমি সবচেয়ে বেশি ধৈর্য ধরতে পারো? নাকি কোথাও ঠোক্কর খেয়ে শিখতে হয়েছে?