তোমার বন্ধুরা কি তোমাকে ‘খুবই কৃপণ’ বলে মজা করে? আচ্ছা, কর্ণের নাম শুনেছো তো? হ্যাঁ, সেই মহাভারতের কর্ণ, যিনি নিজের গায়ের কবচ-কুণ্ডলও দান করে দিলেন! ভাবতেই অবাক লাগে, তাই না? কিন্তু কর্ণের মতো দানশীল হওয়া কি এতটাই কঠিন? একদমই না! চল, দেখি কীভাবে তুমি কর্ণের মতোই দানশীল হতে পারো, মজার ছলে!
১. মুখ ফুটে বলো, “এটা তোর!”
বাচ্চারা যেভাবে চকলেট ভাগ করে, তোমাকেও ঠিক তেমন করতে হবে! বন্ধুরা যখন তোমার প্রিয় লিপস্টিক চায়, মনে মনে কাঁদলেও মুখে মিষ্টি হাসি রেখে বলো, “এটা তোর!” (হ্যাঁ, মনে মনে বলতেই পারো, দেখি, ফেরত দেয় কি না!)
২. দান করো, কিন্তু বুদ্ধি খাটিয়ে!
দান মানে এটা না যে সবকিছু ছড়িয়ে দিতে হবে। কর্ণও কিন্তু বুদ্ধি খাটিয়ে দান করতেন। যেমন, পুরনো জামাকাপড় দান করো, কিন্তু এমনটাও না যেন নিজের পছন্দের জিনিসটাই প্রথমে চলে যায়!
৩. তিনটি ‘না’ বলার আগে একবার ‘হ্যাঁ’ বলো!
সবসময় না বললেই তো চলবে না, তাই না? কখনো সখনো নিজের চিপসের প্যাকেটের শেষ টুকরোটা বন্ধুকে দিয়ে দেখো, মনে শান্তি পাবে (এবং পরেরবার হয়তো সে-ই তোমার জন্য কিনে আনবে!)
৪. সোশ্যাল মিডিয়ায় দানশীলতার গল্প শেয়ার করো!
কর্ণ তো আর ইনস্টাগ্রামে ছিলেন না, কিন্তু তুমি তো আছো! একদিন কাউকে সাহায্য করলে সেটার একটা মিষ্টি ছবি তুলে #BeLikeKarna হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট করো। বন্ধু-বান্ধবদের চোখে তুমি হিরো!
৫. মন থেকে দান করো, মুখের সামনে নয়!
কর্ণ কিন্তু দান করতেন একদম খাঁটি মনে। কাজেই, শুধু লোক দেখানোর জন্য নয়, সত্যি সত্যি সাহায্য করো। মনে মনে ভাবো, “আমি কর্ণ, আমি কর্ণ!”
শেষ কথা:
দানশীল হওয়া মানে শুধু বড় বড় কাজ করা নয়, বরং ছোট্ট ছোট্ট জিনিস ভাগাভাগি করা, একটা হাসি বিলিয়ে দেওয়া, বা কারো খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ানো।