তুমি কি কখনও এমন বন্ধু হতে চেয়েছো, যাকে দেখে সবাই বলে, “ওই যে কর্ণ! যার কথায় মানুষ চোখ বুজে বিশ্বাস করে”?
না, কর্ণ মানে এখানে মহাভারতের সেই সলিড লোকটাকে বলছি। যাকে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়, যাকে একটা প্রমিস দিলে সে নিজের জীবন দিয়ে সেটা রাখে। হ্যাঁ, ঠিক সেই লেভেলের ফ্রেন্ড গোল পেতে চাইলে, তোমার দরকার কিছু গোপন কৌশল। আর আমি সেগুলো আজ তোমারই জন্য আনছি।
তাহলে চল শুরু করি এই মহাজ্ঞান যাত্রা, কিন্তু সাবধান, একবার শেখা হয়ে গেলে তুমি হতে পারো গার্ল স্কোয়াডের MVP!
১. “শোনো সবার কথা, বলো নিজের মনের কথা (কিন্তু হুয়াটসঅ্যাপে না!)”
বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে হলে প্রথম কাজ, active listening. কর্ণ কিন্তু বন্ধুদের কথা শুধু শুনত না, বুঝত।
তুমি কী করছো? মেসেজের রিড রিসিপ্ট অফ করে রেখে এক সপ্তাহ পরে রিপ্লাই দাও? আরে না রে!
টিপ: যখন বন্ধুরা কথা বলছে, মনোযোগ দাও। চোখে চোখ রাখো, ফোনটা পাশে রাখো, আর মাঝে মাঝে বলো, “তুই ঠিক বলেছিস।” ম্যাজিকের মতো কাজ করে!
২. “গোপন কথা মানে গোপন, FBI না তুমি!”
বন্ধু একটা হালকা গোপন কথা বললেই তুমি কি সেটা পাঁচ মিনিটে স্ন্যাপচ্যাট স্টোরি বানিয়ে ফেলো? কর্ণ হলে বলতো, “ব্রহ্মাস্ত্রের মতো রক্ষা করবো।”
টিপ: যে কথা তোমার বন্ধু গোপনে বলেছে, সেটা পৃথিবী উল্টে গেলেও কাউকে বলো না। এমনকি জার্নালে লিখলেও শর্ত সাপেক্ষে
৩. “চাইলে পাশে থাকো, না চাইলে খাবার নিয়ে যাও!”
সবাই পাশে থাকে ভালো সময়ে। কিন্তু খারাপ সময়ে? তখন তো সবাই Netflix & Ignore mode-এ! কর্ণের মতো বন্ধু হলে দরকার পড়লে রেইনকোট পরে কাঁদতেও রাজি হতে হবে।
টিপ: যখন তোমার বন্ধু ডাউন থাকে, “তুই ঠিক হয়ে যাবি” বলার বদলে বলো, “তোর পাশে আমি আছি, চল আইসক্রিম খেতে যাই।”
৪. “সোজা কথা বলো, চাটুকারিতা নয়!”
কর্ণ ছিল সোজা সাপটা। তার বন্ধু ভুল করলেও সে বলত, “তুই ভুল করেছিস, কিন্তু আমি তোর পাশে আছি।”
টিপ: সত্যি বলো, কিন্তু গলার সুরে ভালোবাসা রাখো। যেমন, “তুই জানিস আমি তোকে ভালোবাসি, কিন্তু ওই ছেলেটা আসলে walking red flag!”
৫. “তোর জয়েই আমার জয়!”
সবচেয়ে বড় কথা? একজন বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হিংসুক হয় না।
তোমার বন্ধুর সাফল্য দেখলে তুমি যদি বলো, “ওর হলে আমি কেন পারি না?” তাহলে বন্ধুত্বে হিমশীতল বাতাস বয়ে যায়। কর্ণ তো নিজের বন্ধুর জন্য নিজের ভাগ্য পর্যন্ত ছেড়ে দিতে রাজি ছিল!
টিপ: বন্ধুর সাফল্য দেখে বলো, “তুই পারিস বলেই আমি গর্বিত।” শুধু মুখে বললে হবে না, ফেসবুকে পোস্টও দিতে হবে।
এখন তোমার পালা!
তুমি কি কর্ণের মতো বন্ধুত্বের পরীক্ষায় পাস করতে পারবে? নাকি তুমি এখনো “seen-zoned” বন্ধুত্বে আটকে আছো?
কমেন্টে বলো, তুমি কোন কৌশলটা আজ থেকেই ট্রাই করবে? অথবা নিজের একটা সিক্রেট ফ্রেন্ডশিপ টিপস শেয়ার করো, বোনাস পয়েন্ট পাওয়ার জন্য!
বন্ধুদের মাঝে কর্ণ হও, কারণ সবাই কৌরব হতে চায়, কিন্তু কর্ণরা সত্যিই মনে থেকে যায়।