৫টি ভুল যা ভীষ্মের মতো জীবনের সবচেয়ে বড় অনুশোচনা হয়ে উঠতে পারে!

বন্ধু, তুমি কি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছো যা তোমার ভবিষ্যৎ তুমি নিজেই দেখে ভয় পাবে? যদি উত্তরটা ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে স্টপ! শ্বাস নাও, এই লেখা তোমার জন্যই!

আমরা সবাই জীবন নিয়ে নানা ভুল করি, কিন্তু কিছু ভুল এমন আছে যা আমাদের ভবিষ্যতে গিয়ে চুল ছিঁড়ে বলতে বাধ্য করবে, “উফফ! কেন করলাম এটা!” ঠিক যেমনটা ভীষ্ম করেছিলেন কুরুক্ষেত্রের রণভূমিতে দাঁড়িয়ে। আর দুঃখের বিষয়? তখন আর কিছুই করার থাকে না!

তাই চলো, আগেভাগেই দেখে নিই সেই ৫টি মারাত্মক ভুল যা তোমার জীবনেও ভয়ানক অনুশোচনার কারণ হয়ে উঠতে পারে!

১. নিজের গলা চেপে ধরা: তোমার কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখা

ভীষ্মের মতো তোমারও কি এমন কিছু নিয়ম বা বিশ্বাস রয়েছে, যা আসলে তোমারই ক্ষতি করছে? “আমি তো মেয়ে, এটা করা আমার সাজে না!” “লোকে কি বলবে?” – এসব ভেবে যদি তুমি নিজের কণ্ঠস্বর চেপে ধরো, তাহলে একদিন বুঝবে, তোমার নিজের জন্যই তুমি কিছু করতে পারোনি।

 কী করবে?

  • নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করতে শেখো।
  • অন্যের জন্য নয়, নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নাও।
  • ভয় না পেয়ে নিজের কথার ওজন বাড়াও!

২. অন্যদের জন্য নিজের জীবন বলি দেওয়া

ভীষ্ম রাজা সত্যবতীর বাবা গঙ্গার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নিজের জীবনকেই বিসর্জন দিয়েছিলেন। আর তার ফল? কষ্ট আর অনুশোচনার পাহাড়!

 তুমি কি করছো?

  • অন্যদের খুশি করতে গিয়ে নিজের জীবনকে বিসর্জন দিচ্ছো?
  • নিজের স্বপ্নগুলোর মৃত্যু ঘটাচ্ছো?

 STOP! এখনই নিজের জন্য বাঁচতে শেখো!

৩. ভুল মানুষকে অন্ধ বিশ্বাস করা

ভীষ্ম ধৃতরাষ্ট্র, দুঃশাসন, এবং দুর্যোধনদের অন্ধভাবে বিশ্বাস করতেন, যার ফলে পাণ্ডবরা ভোগ করেছেন সীমাহীন কষ্ট। তুমি কি এমন কারও প্রতি এতটাই অনুগত যে, সে তোমাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে?

 কী করবে?

  • নিজের ইন্সটিংক্টকে গুরুত্ব দাও।
  • সব সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো, কে সত্যি তোমার ভালো চায়?
  • প্রয়োজন হলে দূরে সরে যাও!

৪. সঠিক সময়েও নীরব থাকা

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভীষ্ম জানতেন যে, কৌরবরা ভুল করছে, কিন্তু তিনি চুপ ছিলেন। অনেক সময় আমরা জীবনে কিছু ভুল দেখতে পাই, কিন্তু মুখ খুলি না, কারণ ‘সমাজ’, ‘বন্ধু’, ‘পরিবার’, অথবা ‘ভয়’!

 কী করবে?

  • যখন অন্যায় দেখবে, তখনই আওয়াজ তুলবে।
  • নিজের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করো!
  • মনে রেখো, চুপ থাকা মানেই অন্যায়ের পাশে দাঁড়ানো!

৫. নিজের আবেগকে দমন করা

ভীষ্ম হয়তো অনেকবার চেয়েছিলেন নিজের ভুল শুধরে নিতে, কিন্তু পারেননি কারণ তিনি ‘কঠোর’ হওয়ার ভান করতেন। আমরাও অনেক সময় কষ্ট, দুঃখ, বা ভালোবাসা প্রকাশ করতে ভয় পাই, ফলে একসময় সেই অনুভূতিগুলো আমাদের পুড়িয়ে ফেলে।

 কী করবে?

  • তোমার অনুভূতিগুলোকে দমন করো না!
  • কাঁদতে চাইলে কাঁদো, হাসতে চাইলে হাসো, ভালোবাসতে চাইলে ভালোবাসো!
  • মনে রেখো, অনুভূতি লুকিয়ে রাখলে একদিন সেই অনুভূতিগুলোই তোমাকে পুড়িয়ে দেবে!

 শেষ কথা: এখনই বদলাও, নয়তো পরে পস্তাবে!

ভীষ্মের মতো জীবন কাটাতে চাও? না কি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে চাও? জীবন কিন্তু একটাই, তাই ভুলগুলো সময় থাকতেই শুধরে নাও!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top