বন্ধু, সত্যি বলো – তোমার কি কখনো মনে হয়, “ইশ, আমি যদি একটু বেশি কনফিডেন্ট হতে পারতাম!”?
আর ঠিক তখনই মনে পড়ে, মেয়ে মানেই নরম স্বভাব, কম কথা বলা, মুখ বুজে সহ্য করা—উফফ, কী সেকেলে চিন্তা!
এখন সময় নিজের ভেতরের দ্রৌপদীকে জাগানোর।
হ্যাঁ হ্যাঁ, সেই দ্রৌপদী, যিনি পাঁচজন স্বামীর সামনেও নিজের কথা বলেন, সভায় বসে রাজাদের চুপ করিয়ে দেন, আর নিজের অপমানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
তাই আজ তোমার জন্য আছে –
৫টি জ্বালাময়ী শিক্ষা, যা তোমাকে গড়ে তুলবে এক আধুনিক, সাহসী, ও স্মার্ট ‘দ্রৌপদী’ হিসেবে।
১. “আমি চাই, তাই বলি!” – নিজের মত প্রকাশ করো, বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে
দ্রৌপদী কখনও অন্যের ‘কমফোর্ট জোন’ এর জন্য নিজের স্বর নরম করেননি।
তুমি কেন করবে?
তোমার পছন্দ, অপছন্দ, স্বপ্ন, বা খাবারের অর্ডার – সব জায়গায় নিজের কণ্ঠস্বরের মূল্য বোঝাও।
TIP: প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো – “আমার কথা গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুনতে দাবি করি।”
২. “দুঃসময় মানেই দুর্বল হওয়া না” – কাঁদো, কিন্তু পরে দাঁড়িয়ে পড়ো
যখন দ্রৌপদীকে সভায় অপমান করা হয়েছিল, তিনি ভেঙে পড়েননি – তিনি লড়েছেন।
তোমার জীবনেও খারাপ দিন আসবে, কেউ ‘সিনেমা না দেখতে চাও?’ বলবে না, হয়তো প্রেমে কষ্ট পাবে…
But girl, remember: তোমার ভাঙা হৃদয়ের মধ্যেই লুকিয়ে আছে তোমার যুদ্ধজয়ী রানি।
৩. “না মানে না” – সীমা তৈরি করো এবং বজায় রাখো
দ্রৌপদী জানতেন, কোন জায়গায় থামতে হয়, কোনটায় প্রতিবাদ করতে হয়।
বন্ধু, সবসময় হাসি মুখে সব মেনে নেওয়ার দিন শেষ।
TIP: একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করো, “আমি এটা কি চাইছি, না শুধু চুপচাপ সহ্য করছি?”
সাহসিকতা হলো ‘না’ বলার নাম।
৪. “মুক্তি চাই? নিজেই নিজেকে ছাড়াও!” – অন্যের কাছে ভরসা নয়
দ্রৌপদী যেভাবে নিজের সম্মান রক্ষার জন্য ঈশ্বরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, সেটাও এক ধরনের সেলফ-এমপাওয়ারমেন্ট!
আজ তুমি নিজের ঈশ্বর নিজেই।
ACTION STEP: নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নাও – সেটা পেশা বেছে নেওয়া হোক বা পরের ভ্যাকেশন প্ল্যান!
৫. “দেখে যাও, আমি কী করতে পারি” – নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো
আত্মবিশ্বাস মানে নিজেকে সবসময় সেরা ভাবা নয়, বরং নিজেকে সুযোগ দেওয়ার সাহস রাখা।
তোমার মধ্যে আছে অনন্ত সম্ভাবনা। সেটাকে ভয় পেয়ে বসে থাকতে দিও না।
DARE: এমন কিছু করো, যেটা করতে ভয় লাগে। ভয়কে your spotlight moment বানিয়ে দাও!
শেষ কথা: দ্রৌপদী আদতে শুধুই এক পৌরাণিক চরিত্র নয় – তিনি এক attitude, এক energy, এক প্ল্যানেটের মতো presence!
তুমি কি প্রস্তুত নিজের দ্রৌপদী ভার্সনকে জাগিয়ে তোলার জন্য?
কমেন্টে জানাও –
তোমার জীবনের কোন মুহূর্তে তুমি সবচেয়ে সাহসী ছিলে?
আর যদি প্রস্তুত না থেকেও থাকতে চাও, তো শেয়ার করে রাখো – পরে পড়লে নিজেরই ধন্যবাদ দেবে।