তুমি ক্লাসে চুপচাপ থাকো, কিন্তু ফেসবুকে কেউ তোমার নাম ধরে ট্রল করেছে। অথবা তুমি একটা সম্পর্ককে গুরুত্ব দাও, আর সে তোমার বিশ্বাস ভেঙে দিল। কিংবা, তুমি তোমার পরিবারকে খুশি রাখতে সব করো, আর তাও “তুমি ঠিক করো না” শোনা লাগে। জীবনটা কখনো কখনো মহাভারতের থেকেও বেশি ড্রামাটিক, বলেই দাও!
তবে ভয় নেই, কারণ দ্রৌপদী, কুন্তী, আর সুভদ্রার মতো নারীরা দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে প্রতিকূলতায়ও রানীর মতো মাথা উঁচু করে বাঁচা যায়! Ready? Let’s dive in!
১. দ্রৌপদীর মতো ভয়ডরহীন হও! – আত্মসম্মানই তোমার আসল অস্ত্র
তোমাকে কেউ অপমান করেছে? ঠাণ্ডা মাথায় তাদের চেহারাটা মনে রাখো, not to hate, but to rise above. দ্রৌপদী যেভাবে রাজসভায় অপমান সহ্য করেও নিজের আত্মসম্মান ধরে রেখেছিলেন, তেমন তুমি পারো–খুব সুন্দর করে, মুচকি হেসে, “আমার লেভেলে কথা বলো আগে” টাইপ ভিবস দিয়ে এগিয়ে যেতে।
এক্সট্রা টিপ: Mirror-এর সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলো, “আমি রানী, কারো দয়া চাই না।”
২. কৃষ্ণকে পাশে রাখো – মানে, নিজের intuition-কে বিশ্বাস করো
দ্রৌপদী যখন হেরে যাচ্ছিল, তিনি ডাকলেন কৃষ্ণকে। এক কথায়, তিনি নিজের highest intuition-কে ডাকলেন। আজকের যুগে কৃষ্ণ মানে কি? তোমার নিজের অন্তরের কণ্ঠস্বর।
যখন মনে হবে “সব শেষ”, তখন ভেবো, কৃষ্ণ তখনো আসেনি!
এক্সট্রা টিপ: প্রতিদিন সকালে ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে নিজের ভেতরের গলার সাথে connect করো। হ্যাঁ, ওরও Instagram নেই, but she’s wise AF.
৩. কুন্তীর মতো কনফিডেন্ট হও – Judgment-proof mindset
কুন্তী ছিলেন single mom, তিন ছেলের জন্য একাই লড়াই করেছেন। মানুষ তো তাঁকে নিয়েও কম কথা বলেনি! কিন্তু she didn’t care. Because confidence comes from knowing your worth, not from others’ approval.
এক্সট্রা টিপ: কেউ যখন তোমাকে বিচার করে, নিজেকে বলো, “Thanks for your opinion, I’ll keep it where I keep expired lipstick, IN THE BIN.”
৪. গান্ধারীর মতো ক্ষমতার অভ্যন্তরীণ চোখ খোলো
সে চোখ বন্ধ করে বাঁচতেন না, তিনি ভেতর দিয়ে দেখতেন। জীবন যদি তোমার সামনে দরজা বন্ধ করে দেয়, জানালা খুঁজো না, দেয়ালটা ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করো!
এক্সট্রা টিপ: প্রতিদিন অন্তত ১টা challenge লেখো, আর ৩টা solution brainstorm করো, without asking Google first. তুমি নিজেই গুগলের থেকেও বেশি powerful!
৫. সুভদ্রার মতো নিজের পছন্দের জন্য লড়ো – Be the unapologetic queen
সুভদ্রা নিজে অর্জুনকে পছন্দ করেছিলেন, আর সোজা পালিয়ে গিয়েছিলেন (romantic version of rebellion )। তোমার life-choices অন্য কারো approval-এর ওপর নির্ভর করে না। তুমি যাকে পছন্দ করো, যে কাজ ভালোবাসো, go get it!
এক্সট্রা টিপ: জীবনে যদি কিছু চাও, তো universe-এর কাছেও সরাসরি বলো: “I want this. And I will have it.” Manifestation game on point!
৬. কীচক ঠেকাতে হলে শক্ত হতে হয় – সীতা নয়, হিরোইন তুমি!
দ্রৌপদী কীচকের অপমানের পর চুপ থাকেননি। তিনি সাহস দেখিয়েছিলেন। জীবনে যখন কেউ সীমা ছাড়ায়, তখন girl, you don’t stay quiet. You roar.
এক্সট্রা টিপ: হ্যারাসমেন্ট, শেমিং, বা emotional manipulation, এগুলোকে “সহ্য করা” তোমার দায়িত্ব নয়। এটা বলো: “Enough. Not on my watch.” Call it out. Loudly.
এখন তোমার পালা!
তোমার লাইফেও কি কোনো কুরুক্ষেত্র চলছে? তুমি কার মতো হতে চাও, দ্রৌপদী, কুন্তী, না গান্ধারী?
কমেন্টে বলো, “আমি রানী, আমি পারি!”
আর এই পোস্টটা শেয়ার করো তোমার সেই বন্ধুদের সাথে, যাদের মনে করো, ওর মধ্যেও একটুকরো দ্রৌপদী লুকিয়ে আছে।