৬টি উপায় শিখণ্ডীর মতো প্রতিবাদী হওয়ার!

তোমার ভয় নেই? চ্যালেঞ্জ নাও!

তুমি কি এমন একজন মেয়ে, যে অন্যায় দেখলে চোখ বুজে থাকতে পারে না? তোমার কি মনে হয়, এই পৃথিবীটা একটু বেশিই অন্যায্য? কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলেই আশেপাশের লোকেরা বলবে, “মেয়েদের বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়”?

বন্ধু, এবার তোমার ভেতরের শিখণ্ডীকে জাগাও!
শিখণ্ডী ছিলেন সেই মহাযোদ্ধা, যিনি সমস্ত সমাজের বাঁধা অগ্রাহ্য করে কুরুক্ষেত্রে লড়েছিলেন। তিনি কেবল সাহসী নন, বরং একজন আদর্শ বিদ্রোহী! আর যদি তুমি মনে করো তোমার মধ্যেও সেই বিদ্রোহের আগুন আছে, তাহলে এই ৬টি উপায় তোমার জন্যই!

১. “ভদ্র মেয়ের” মুখোশ খুলে ফেলো! 

তোমার চারপাশের লোকজন তোমাকে শেখাবে, “ভদ্র মেয়ে চুপচাপ থাকে!” কিন্তু, বলো তো, ইতিহাসের কোন বিদ্রোহী চুপচাপ ছিল? কেউ না!
তাই এবার থেকে, যখন কেউ তোমাকে অন্যায় কিছু করতে বাধ্য করবে, তখন একটাই কথা বলবে, “আমি কি তোমার কন্ট্রোল করা রোবট?” 

২. “না” বলা শেখো! 

যদি তুমি সবসময় “হ্যাঁ” বলো, তাহলে লোকজন তোমার উপরেই চালিয়ে যাবে তাদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত! তোমার নিজের কণ্ঠস্বর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
• কেউ যদি তোমার সীমা লঙ্ঘন করতে চায়, “না!”
• কেউ যদি তোমাকে দমিয়ে রাখতে চায়, “না!”
• কেউ যদি তোমাকে তোমার স্বপ্ন ছাড়তে বলে, “বড়সড় না!” 

৩. নিজের চিন্তাভাবনাকে অস্ত্র বানাও! 

শুধু চিৎকার করলেই হবে না, তুমি বুদ্ধিমতী বিদ্রোহী হবে!
তুমি যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তখন সেটার কারণ, তথ্য, ও প্রমাণ সবকিছু মাথায় রাখবে।
যেমন:
যদি কেউ বলে, “মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারে না!”
তুমি বলবে, “ওহ, তাহলে ফর্মুলা-১ এর মহিলা ড্রাইভাররা ভূত?”

৪. “লোক কী বলবে?”-কে ব্লক লিস্টে পাঠাও! 

সবচেয়ে বড় বাধা কী? লোকের কথা!
তুমি যদি প্রতিবাদী হও, তাহলে ১০০% নিশ্চিত যে লোকজন বলবে:

  • “ও তো বাড়াবাড়ি করছে!”
  • “মেয়েদের এত জেদ ভালো নয়!”
  • “এর বিয়ে হবে না!” (এইটা শুনে হাসতে পারো )

তাদের কথা শুনবে? একদমই না! তুমি তোমার পথেই এগিয়ে যাবে। কারণ লোকের কথায় চললে, তুমি কখনোই নিজের শক্তি খুঁজে পাবে না!

৫. প্রতিবাদী বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করো! 

বিড়ালের সাথে থাকলে বিড়ালের মতোই মিউ মিউ করবে। কিন্তু সিংহের সাথে থাকলে? গর্জন করবে!
তাই আশেপাশে সাহসী, স্বাধীনচেতা, প্রতিবাদী মেয়েদের রাখো, যারা তোমাকে ভয় কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে!

৬. ভয়ের সাথে বন্ধুত্ব করো! 

তুমি যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তখন ভয় আসবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভয় পেলে থেমে যাবে? নাহ!
ভয়কে শক্তিতে পরিণত করো। মনে রেখো, “সাহস মানে ভয় না পাওয়া নয়, বরং ভয় পেলেও এগিয়ে যাওয়া!”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top