তুমি কি ভাবছো যে তোমার পারফেক্ট জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া একেবারে অসম্ভব? ভুল! কারণ তুমি যদি সুভদ্রার মতো বুদ্ধিমান হও, তবে জীবনে একজন আদর্শ পার্টনার বেছে নেওয়া হবে একদম মামুলি ব্যাপার!
সুভদ্রা কে? আরে, মহাভারতের সেই কিংবদন্তি নারী, যিনি ভালোবাসা আর বুদ্ধিমত্তার এক অবিশ্বাস্য মিশ্রণ! তাঁর মতো যদি তুমি পারফেক্ট জীবনসঙ্গী চাও, তাহলে এই ৬টি মাস্টার ট্রিকস অবশ্যই কাজে লাগাবে!
১. প্রথম দেখাতেই প্রেম? না, আগে অ্যানালাইস করো!
সিনেমার মতো প্রেম? ধুস! বাস্তবে সেটা কাজ করে না! সুভদ্রার মতো বুদ্ধিমান মেয়ে আগে পুরো পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে, তারপর সিদ্ধান্ত নেয়!
তুমি যাকে পছন্দ করছো, সে কি আসলেই তোমার স্বপ্নের রাজকুমার, নাকি শুধু ভালো লুকিং? তার মূল্যবোধ, রেস্পেক্ট, আর দায়িত্বশীলতা আছে তো? চোখ বন্ধ করে প্রেমে ঝাঁপ দিও না, আগে একবার ভালো করে যাচাই করে নাও!
২. সত্যিকারের ‘হিরো’ চেনার জন্য ড্রামার ফাঁদে পা দিও না!
অনেক ছেলেই প্রথম দিকে ‘সুইট টক’ আর ‘ফিল্মি ডায়লগ’ দিয়ে তোমাকে ইমপ্রেস করবে। কিন্তু একটু সময় নিয়ে দেখো, সে কি আসলেই তোমার জন্য কিছু করে, নাকি শুধু মুখে মুখে বলে?
সুভদ্রা অর্জুনকে বেছে নিয়েছিল কারণ সে শুধু ‘আই লাভ ইউ’ বলেনি, বরং প্রমাণ করেছিল যে সে সত্যিই তাঁকে সম্মান করে!
৩. ফ্যামিলি অ্যাপ্রুভালকে গুরুত্ব দাও – কারণ তারা সব দেখে!
তোমার পরিবার তোমার সবচেয়ে বড় ওয়াচডগ, তারা অনেক কিছু আগেভাগেই বুঝতে পারে। প্রেমে পড়লে আমরা অনেক সময় স্পষ্ট চিন্তা করতে পারি না, কিন্তু পরিবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে দোষ কী?
সুভদ্রার পরিবারও তাঁর জীবনসঙ্গী নিয়ে চিন্তিত ছিল, কিন্তু শেষমেশ অর্জুন প্রমাণ করেছিল যে সে যোগ্য! তাই, প্রেম করো ঠিক আছে, তবে ব্লাইন্ডলি না!
৪. বড় স্বপ্ন দেখো, ছোটলোকের ফাঁদে পড়ো না!
একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী শুধু প্রেমিক নয়, বরং সে তোমার স্বপ্নের সঙ্গীও হবে। সে কি তোমাকে সাপোর্ট করে? তোমার সফলতা দেখলে কি সে খুশি হয় নাকি জেলাস ফিল করে?
সুভদ্রা অর্জুনকে বেছে নিয়েছিল কারণ অর্জুন তাঁকে নিজের মতো হতে দিয়েছে, তাঁকে ছোট করে রাখেনি। তুমিও এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমার স্বপ্নকে ছোট করে না!
৫. শুধু হার্ট না, ব্রেইন দিয়েও সিদ্ধান্ত নাও!
ভালোবাসা একটা দারুণ অনুভূতি, কিন্তু সেটা যদি তোমাকে স্টুপিড বানিয়ে দেয়, তাহলে ভয়ানক!
তুমি কি এমন কাউকে বেছে নিচ্ছো যে শুধু তোমার সময় কাটানোর জন্য আছে, নাকি সত্যিই তোমার পাশে থাকবে? ব্রেন দিয়ে চিন্তা করো, যাতে পরবর্তীতে কষ্ট না পেতে হয়!
৬. নিজের মানসিকতা গড়ো, যাতে কাউকে তোমার জীবনসঙ্গী বানিয়ে নিতে না হয়!
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তুমি যদি নিজের জীবনে স্ট্রং হও, তাহলে তুমি এমনিতেই যোগ্য কাউকে আকর্ষণ করবে!
সুভদ্রা কিন্তু কেবল অর্জুনের স্ত্রী নয়, তিনি নিজেও শক্তিশালী নারী ছিলেন। তাই আগে নিজেকে গড়ে তোলো, তারপর সঠিক জীবনসঙ্গী আপনাতেই তোমার দিকে আসবে!