আমরা সবাই জানি মহাভারতের গন্ধারীকে, তাই না? যিনি স্বেচ্ছায় নিজের চোখ বাঁধলেন, যেন তার স্বামী ধৃতরাষ্ট্রের কষ্ট অনুভব করতে পারেন! ভাবতে গেলে, এই মেয়েটি সত্যিই পাগল ছিল নাকি অসাধারণ শক্তিশালী?
এবং বন্ধু, সত্যটা হলো, গন্ধারী ছিলেন পরম শক্তির আধার। আর তার জীবন থেকে আমরা পেতে পারি এমন কিছু শিক্ষা, যা আজকের দিনে আমাদের সশক্ত করতে পারে!
১. নিজের চোখ বাঁধো, কিন্তু মনে নয়!
গন্ধারী তার চোখ বাঁধলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি জীবনের কঠিন সত্যগুলো দেখতে ভুল করেননি। সম্পর্ক হোক বা ক্যারিয়ার, সবকিছুতেই তুমি যদি শুধু ভালো দিকগুলোই দেখো, তাহলে কষ্ট আসবেই। সুতরাং, বাস্তববাদী হও এবং যা কিছু সামনে আসে, সেটাকে গ্রহণ করো।
২. নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নাও
তুমি যদি ভাবো গন্ধারী তার শ্বশুরবাড়ির চাপে চোখ বাঁধেন, তবে ভুল! এটা ছিল তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। জীবনেও এমনই হও, কেউ কিছু বললে অন্ধের মতো মানবে না। নিজের মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগাও এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নাও।
৩. ত্যাগের শক্তি বোঝো, কিন্তু বোকা হয়ো না!
গন্ধারী ত্যাগের উদাহরণ বটে, কিন্তু ত্যাগ মানে নিজের স্বপ্নগুলিকে জলাঞ্জলি দেওয়া নয়! যদি তুমি প্রতিদিন তোমার পছন্দের জিনিসগুলি শুধু অন্যদের খুশি করার জন্য ত্যাগ করো, তবে একদিন তুমি নিজেকে হারিয়ে ফেলবে। সুতরাং, ত্যাগ করো, কিন্তু নিজের জন্যও কিছু রাখো।
৪. তোমার শক্তি গোপন রাখো
গন্ধারীর ১০০ সন্তান ছিল! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছো! এই মেয়েটি চুপচাপ নিজের শক্তি লুকিয়ে রাখতেন। তুমিও তেমনি হও, সবাইকে তোমার পরিকল্পনা জানাতে হবে না। তোমার শক্তি তোমার মধ্যেই লুকিয়ে থাকুক, সঠিক সময়ে তাকে প্রকাশ করো।
৫. নিজের ইচ্ছেশক্তি বাড়াও
গন্ধারী জীবনভর চোখ বাঁধা রেখে প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছেশক্তি থাকলে সব সম্ভব! তুমি যদি সত্যিই কিছু চাও, তাহলে সেটার জন্য কাজ করো এবং নিজের লক্ষ্য থেকে কখনো সরবে না।
৬. শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই করো
যুদ্ধক্ষেত্রেও গন্ধারী হাল ছাড়েননি। জীবনেও এমনই হও, চ্যালেঞ্জ আসবেই, কিন্তু তুমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। হাল ছেড়ো না, কারণ তোমার মধ্যে অসীম শক্তি লুকিয়ে আছে!