তোমার জীবন কি ডেইলি সোপের থেকেও বেশি ড্রামাটিক? স্কুলের প্রেজেন্টেশন, বন্ধুর সাথে মিথ্যে কথা ধরা পড়া, বা বাড়িতে মা-বাবার চাপ, সব কিছুতেই যেন মনে হয় মহাভারতের কুরুক্ষেত্র শুরু হয়ে গেছে! এই পরিস্থিতিতে কি তুমি পালিয়ে যেতে চাও, নাকি অভিমন্যুর মতো সাহসী হয়ে দাঁড়াতে চাও? হ্যাঁ, সেই অভিমন্যু, যে মাত্র ষোলো বছর বয়সে চক্রব্যূহ ভেদ করতে নেমেছিল!
তাহলে চল, আজ শিখে নেওয়া যাক, কীভাবে জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জে অভিমন্যুর মতো অদম্য হয়ে ওঠা যায়!
১. ‘না’ বলতে শেখো!
আমরা মেয়েরা প্রায়ই ‘না’ বলতে লজ্জা পাই। মনে হয়, কেউ কষ্ট পাবে, কিংবা সবাই আমাকে অপছন্দ করবে! কিন্তু ভাবো তো, অভিমন্যু যদি যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ‘না’ বলত, তাহলে? জীবনে প্রতিটি চক্রব্যূহ থেকে বেরোতে গেলে ‘না’ শব্দটা তোমার ঢালের মতো কাজ করবে!
২. তোমার শক্তি চিনে নাও!
অভিমন্যু জানত, সে চক্রব্যূহের ছয়টি স্তর ভেদ করতে পারবে। তোমারও জানা দরকার, তোমার কী শক্তি আছে। লেখাপড়া, গান, ছবি আঁকা, তোমার যা ভালো লাগে, সেটাতে মন দাও। তুমি যদি নিজের ক্ষমতা চিনতে পারো, তবে কোনও চ্যালেঞ্জই তোমার কাছে বিশাল মনে হবে না!
৩. ভয়কে বন্ধু বানাও!
হ্যাঁ, তুমি ঠিক শুনেছ! ভয়কে এড়াতে যেও না, বরং তাকে আলিঙ্গন করো। অভিমন্যু জানত, সে চক্রব্যূহ থেকে বেরোতে পারবে না, তবুও সে ভয়কে জয় করেছিল। একবার নিজের ভয়ের মুখোমুখি দাঁড়াও, দেখবে, ভয় কেমন ছোট্ট মনে হবে!
৪. পরিকল্পনা ছাড়া যুদ্ধে যেও না!
অভিমন্যুর মতো তোমাকেও জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে প্ল্যানিং করতে হবে। পরীক্ষার আগে সিলেবাস পড়ে যাও, বন্ধুর সাথে ঝগড়ার আগে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করো, এমনকি তোমার প্রিয় সিরিজের নতুন এপিসোড দেখার আগেও প্ল্যান করো, কীভাবে মা-বাবার চোখ এড়িয়ে দেখবে!
৫. অন্যের কথা কম, নিজের কথা বেশি শুনো!
জীবনে অনেকেই তোমাকে নানা কথা বলবে। কেউ বলবে তুমি এটা পারবে না, কেউ বলবে তোমার স্বপ্নগুলি আজগুবি! কিন্তু মনে রেখো, অভিমন্যু যদি সবার কথা শুনত, তবে সে কখনোই চক্রব্যূহে প্রবেশ করত না। নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দাও!
৬. হার মেনে নেওয়া কোনও লজ্জার নয়!
হ্যাঁ, অভিমন্যু শেষ পর্যন্ত চক্রব্যূহ থেকে বেরোতে পারেনি। কিন্তু তাতে কি সে পরাজিত? একদম না! বরং সে আমাদের শিখিয়ে গেছে, চেষ্টা না করাই আসল পরাজয়। তোমার জীবনে হার এলে, তাকে লজ্জা হিসেবে দেখো না, বরং শিখে নাও, পরের বার কীভাবে আরও শক্তিশালী হওয়া যায়!
৭. মনে রেখো, তুমি তোমার নিজের নায়িকা!
কোনও প্রিন্স চার্মিং এসে তোমাকে বাঁচাবে, এই ভাবনা আজই মাথা থেকে বের করে দাও। তুমি নিজেই তোমার জীবনের নায়িকা। অভিমন্যুর মতো নিজের যুদ্ধ নিজেই লড়ো, আর যখনই দরকার, নিজের জন্য তলোয়ার তুলতে কুণ্ঠা বোধ করো না!