তুমি যদি আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড়ে “Perfect girl” syndrome-এ হাঁপিয়ে ওঠো, তাহলে STOP! এবার “মহাভারত মোড” অন করো।
কারণ, যুদ্ধক্ষেত্র হোক বা সংসারক্ষেত্র, মহাভারতের নারীরা ছিল আত্মমর্যাদার ওয়াকিং টকিং আইকন।
তাদের জীবনে Insta filter ছিল না, কিন্তু Character filter ছিল ১০০%!
তাদের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু, না, শুধু শাড়ি পড়ার স্টাইল না, বরং জীবন সামলানোর স্টাইল।
আজ তোমার জন্য রইলো ৭টি কিলার টিপস, যা তোমাকে বানাবে “আত্মমর্যাদার রাণী”।
১. “না” বলতে শেখো – গাণ্ডারীর মতো চোখ খুলে!
গাণ্ডারী নিজের চোখ বেঁধেছিলেন স্বামীর প্রতি ভালোবাসা থেকে। কিন্তু তার মানে এই না যে তুমি সবার সামনে চুপ করে থাকো!
আজকের যুগে, “না” বলতে পারা মানেই হিরোইন হওয়া।
কেউ যদি তোমার সময়, স্পেস, বা সিম্পল রেস্পেক্ট না দেয় , বলো, “না ভাই, আর না!”
২. দ্রৌপদীর আগুনটা জ্বালিয়ে রাখো
পাঁচটা রাজপুত্রের স্ত্রী, তবুও নিজের ইচ্ছা আর ইগোতে একচুলও কমতি নয়।
যখন কৌরবেরা অপমান করলো, সে চুপ করে বসে ছিল না , সে যুদ্ধ ডেকে আনলো!
তুমি অপমান সহ্য করো না , প্রতিটা insult-এর উত্তর হতে পারে তোমার next glow-up!
৩. কুন্তীর মতো কৌশলী হও (হ্যাঁ, একটু নাটকীয় হলেও চলবে!)
কুন্তী রাজনীতির গেমে মাস্টার প্লেয়ার ছিলেন। নিজের সন্তানদের কিভাবে পরিচালনা করতে হয়, সেটা জানতেন হাড়ে হাড়ে।
আজকের দিনে মানে: relationship হোক বা অফিস , তুমি বুঝে খেলো। Game বুঝে queen হও।
৪. সাবধান! ক্ষমাশীল হতেই হবে না , মাদ্রী ছিল না, তুমিও নও!
মাদ্রী ভালো ছিলেন, কিন্তু দায়িত্ব এড়িয়ে নিজেকে বলি দিলেন। আজকের যুগে? Girl, get up!
তোমার ব্যথা, তুমিই ঠিক করো , কিন্তু নিজের অস্তিত্বকে কখনো “সরি” বলে মুছে দিও না।
৫. সত্যবতীর মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী হও, তবুও নিজের নিয়মে
সত্যবতী স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজমহল, আর সেটা পেয়েছিলেন।
তবে খেয়াল রেখো, তুমি যদি নিজের ইচ্ছেগুলো নিয়ে গিল্টি ফিল করো, তাহলে কেউ তোমার জন্য রাজ্য বানাবে না।
তোমার ambition মানেই selfish না , it’s called survival, darling!
৬. উলুপীর মতো আউটসাইডার হো, তবুও নিজের presence রাখো
উলুপী ছিলেন নাগরাজের কন্যা, একেবারে “out of syllabus” নারী।
তবুও তিনি অর্জুনের জীবনে নিজের জায়গা বানিয়েছিলেন।
তোমার ব্যাকগ্রাউন্ড, তোমার past , এসব কিছুই তোমাকে define করে না। তুমি নিজেই একটা স্টেটমেন্ট!
৭. দ্রৌপদীর প্রশ্ন করা মনোভাব – ‘পতিদের প্রশ্ন করো, সিস্টেমকেও!’
“সভায় বসে আছি, আর আমাকে দাসী বলছে?”
না মেয়েরা, এটা ৩০০০ বছর আগের প্রশ্ন, কিন্তু আজও প্রাসঙ্গিক।
তোমার পরিবার, সোশ্যাল মিডিয়া, বা তথাকথিত বন্ধুরা – কেউ তোমার আত্মমর্যাদায় হস্তক্ষেপ করলে জবাব দাও। With logic. With sass.
শেষ কথা: “তুমি কাউকে প্রুভ করতে আসো নি, তুমি জ্বলতে এসেছো।”
মহাভারতের নারীরা একটাই জিনিস প্রমাণ করেছে – আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস থাকলে, ইতিহাস বদলানো যায়।
তুমি কোন চরিত্রের সাথে বেশি রিলেট করো , দ্রৌপদী, গাণ্ডারী, না সত্যবতী?
কমেন্টে জানাও, আর শেয়ার করো তোমার সেরা আত্মমর্যাদা মোমেন্ট!