আমরা সবাই জানি, মহাভারতের দ্রৌপদী ছিলেন শুধু রূপে নয়, বুদ্ধিতেও অতুলনীয়। রাজপ্রাসাদ থেকে দুর্যোধনের সভা, যেখানেই গেছেন, নিজের আত্মমর্যাদা অটুট রেখেছেন। তোমার জীবনেও কি এমন মুহূর্ত আসে, যখন মনে হয় কেউ তোমার সীমা পরীক্ষা নিচ্ছে? তাহলে, এবার তোমার পালা! এই ৭টি কৌশল আয়ত্ত করো, দ্রৌপদীর মতো আত্মসম্মান বজায় রাখো, আর পুরো দুনিয়াকে দেখিয়ে দাও কে তুমি!
১. তোমার আত্মমর্যাদার সীমারেখা নির্ধারণ করো!
দ্রৌপদী জানতেন, কোথায় থামতে হবে আর কোথায় রুখে দাঁড়াতে হবে। তোমার ক্ষেত্রেও তাই, তুমি যা মানতে চাও না, সেটার জন্য ‘না’ বলো! কেউ তোমার স্পেসে অযাচিতভাবে ঢুকতে চাইলে, বুঝিয়ে দাও, তুমি একটা ‘Queensland’ চালাচ্ছো, যেখানে রাজা-রাণীর অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ!
২. তুমি কারো ট্রফি নও!
দ্রৌপদী ছিলেন একাধিক রাজপুত্রের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু তিনি নিজেকে কোনো ‘প্রাইজ’ মনে করেননি! তোমাকেও বুঝতে হবে, তুমি কেবল অন্যদের পছন্দের বস্তু নও। তুমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে, এবং তা নিয়ে কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না!
৩. নীরবতা কখনো কখনো সবচেয়ে বড় অস্ত্র!
দ্রৌপদী সবসময় তর্কে জড়াননি, বরং পরিস্থিতি বুঝে কথা বলেছেন। সব কিছুর উত্তর দেওয়া জরুরি নয়। মাঝে মাঝে নীরব থাকাটা তোমার আত্মসম্মানের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ হতে পারে!
৪. সাহসের সঙ্গে সত্য বলো!
যখন দ্রৌপদী সভায় অপমানিত হয়েছিলেন, তিনি মুখ বন্ধ রাখেননি! তুমি যদি অন্যায় সহ্য করো, তবে সেটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাই নিজের জায়গায় দৃঢ় থাকো, অন্যায় হলে মুখ খুলে বলো!
৫. স্বনির্ভর হও, রাজকুমারীর মতো, না রাজ্যের উপর নির্ভরশীল!
দ্রৌপদী কখনোই পুরুষদের সহানুভূতির উপর নির্ভর করেননি। তোমারও উচিত নিজের ক্যারিয়ার, শিক্ষা আর ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলা, যেন কখনো কারও অনুমতির প্রয়োজন না হয়!
৬. নিজের বন্ধুবান্ধব ঠিকমতো বেছে নাও!
দ্রৌপদীর মতোই এমন বন্ধুবান্ধব রাখো, যারা বিপদে পাশে থাকবে। বিশ্বাসঘাতকদের এড়িয়ে চলো এবং প্রকৃত বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দাও!
৭. তোমার গল্পের নায়িকা তুমি নিজেই!
দ্রৌপদীর গল্প অন্য কেউ লিখেনি, তিনি নিজেই নিজের ভাগ্য গড়েছেন। তোমার জীবনেও সেটাই হওয়া উচিত! অন্য কেউ তোমার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে না, তুমি তোমার নিজের গল্পের পরিচালক!