বন্ধুরা, শোনো! আমরা সবাই কখনো না কখনো জীবনের কোনো না কোনো ভুল পথে পা বাড়াই, কিন্তু এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো যেন একেবারে মহাভারতের দুঃশাসনের মতো আমাদের টেনে নিয়ে যায় অন্ধকারের গভীরে। ভয় পেও না! আজ আমরা সেই ভুলগুলোর কথা বলব, যাতে তুমি আগে থেকেই সতর্ক থাকতে পারো।
১. সবার কথা শুনে নিজেকে ভুলে যাওয়া
‘আমাকে কী বলবে?’, ‘ওরা কী ভাববে?’ – এই ভেবে যদি তুমি নিজের সিদ্ধান্তগুলো থেকে পিছিয়ে আসো, তবে তুমি দুঃশাসনের মতোই নিজের জীবনের ক্ষমতা অন্যদের হাতে তুলে দিচ্ছো! নিজেদের মূল্য বোঝো, তোমার কণ্ঠের শক্তিকে কখনো হারাতে দিও না!
২. নেতিবাচক বন্ধুদের বেষ্টনীতে আটকে থাকা
দুঃশাসনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল কৌরবদের নেগেটিভ ইনফ্লুয়েন্সে পড়া। তুমিও যদি এমন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাও যারা সবসময় তোমার স্বপ্নগুলোকে ভেঙে দেয়, তবে তুমি নিশ্চিতভাবে ভুল পথে চলছো! তোমার আশেপাশে এমন মানুষ রাখো যারা তোমাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা দেয়।
৩. নিজের ওপর বিশ্বাস না রাখা
দুঃশাসন যেমন দুর্যোধনের ছায়ায় পড়ে নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়েছিল, তুমিও যদি নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস না রাখো, তবে জীবনকে অন্ধকারময় মনে হবে। নিজের শক্তির উৎস খুঁজে বার করো!
৪. সঠিক সময়ে ‘না’ বলতে না পারা
দুঃশাসনের মতোই যদি তুমি সবকিছুকে ‘হ্যাঁ’ বলতে থাকো, তবে জীবনের ভার তোমার উপর চেপে বসবে! ‘না’ বলাটা দোষের কিছু নয়, বরং এটা আত্মরক্ষার একটি প্রয়োজনীয় দিক।
৫. অতীতের ভুল নিয়ে পড়ে থাকা
দুঃশাসন যদি মহাভারতের ভুলগুলো ভুলে যেতে পারত, তবে হয়তো সে এত বড় ধ্বংসের মুখ দেখত না। তুমিও যদি অতীতের ভুলগুলোর ভার নিজের কাঁধে নিয়ে চলতে থাকো, তবে সামনে এগোনো কঠিন হবে। ভুল থেকে শিখো, তবে এগিয়ে যাও!
৬. নিজের যত্ন না নেওয়া
মনে রেখো, নিজের যত্ন না নেওয়া মানে নিজের প্রতি অবিচার করা। দুঃশাসনের মতোই যদি তুমি নিজের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাকে উপেক্ষা করো, তবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তোমাকে অন্ধকার ঘিরে ধরবে।
৭. সময়ের মূল্য না বোঝা
দুঃশাসনের মতো যদি তুমি সময়কে হেলাফেলা করো, তবে জীবনের সঠিক সুযোগগুলো হারিয়ে যাবে। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে শেখো, কেননা সময় চলে গেলে তা আর ফেরে না!