বন্ধুত্ব কীভাবে হবে মজবুত, মধুর, আর সারাজীবন টিকে থাকার মতো? শুধু মুখে বললেই তো আর হয় না, দরকার টুকটাক ম্যাজিক ট্রিকস! আর কে ভালো বন্ধু গড়ার মন্ত্র জানে? কৃষ্ণ!
শুধু রাখালদের নেতা, রাধার প্রেমিক, আর মাখনের চোরই নন, তিনি ছিলেন বন্ধুত্বের প্রকৃত গুরু! তার জীবন থেকে এই সাতটি পাঠ নাও, আর বন্ধু সার্কেলে হয়ে যাও সবার ফেভারিট!
১. সত্যিকারের বন্ধুর পাশে থাকো, ঝড়-বাদলে!
কৃষ্ণ-সুদামার গল্প শোনোনি? রাজা হয়েও কৃষ্ণ তার গরিব বন্ধু সুদামাকে আপন করে নেন। অর্থ, অবস্থান, এসব বন্ধুত্বের মাপকাঠি হতে পারে না! সত্যিকারের বন্ধু সেই, যে খারাপ সময়েও পাশে থাকে। তুমিও কি শুধু আনন্দের সময়েই বন্ধুত্ব করো, নাকি বিপদের দিনে থেকেও বন্ধুদের পাশে থাকো?
২. সব বন্ধুর সাথে একরকম ব্যবহার করো না!
কৃষ্ণ কিন্তু সব বন্ধুর সাথে এক আচরণ করতেন না। রাধার সাথে যেমন ছিলেন রোমান্টিক, অর্জুনের সাথে ছিলেন গুরু, আবার বলরামের সাথে ছিলেন হাসিখুশি ভাইয়ের মতো। প্রত্যেক বন্ধুর ব্যক্তিত্ব বুঝে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ো, তবেই বন্ধুত্ব হবে মজবুত!
৩. আস্থা আর বিশ্বাস, বন্ধুত্বের লাইফলাইন!
যদি তোমার বন্ধুদের ওপর বিশ্বাস না থাকে, তবে বন্ধুত্ব কতদিন টিকবে? কৃষ্ণের সাথে অর্জুনের বন্ধুত্ব কেবল আস্থার ওপর টিকে ছিল। পরীক্ষায় নকল ধরিয়ে দিলেও, প্রেমের গোপন কথা শেয়ার করলেও, বিশ্বাস ভাঙলে কিন্তু বন্ধুত্ব শেষ! সুতরাং, বিশ্বাস বজায় রাখো!
৪. হাসি-ঠাট্টা করো, কিন্তু সীমা রেখো!
হাসিঠাট্টা না থাকলে বন্ধুত্ব ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যায়। কিন্তু সেই মজাটা যেন কাউকে কষ্ট না দেয়! কৃষ্ণ যেমন শখ করে গোপীদের মাখন চুরি করতেন, তেমনি কখনো সীমা ছাড়িয়ে যাননি। তাই বন্ধুর সঙ্গে মজা করো, কিন্তু এমন কিছু কোরো না যাতে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়।
৫. স্বার্থপর বন্ধুত্ব? না ভাই, ধন্যবাদ!
বন্ধুত্ব মানে শুধু নেওয়া নয়, দেওয়াও। যদি সব সময় তুমি নিজের লাভের কথা ভেবে বন্ধুত্ব করো, তবে সেটা ব্যবসা, বন্ধুত্ব নয়! কৃষ্ণ কখনো বন্ধুত্বে স্বার্থ খুঁজতেন না, তুমিও খুঁজবে না। সত্যিকারের বন্ধুত্ব নিঃস্বার্থ!
৬. কখনো বন্ধুর সঠিক পথ ভুলে যেতে দিও না!
বন্ধুরা ভুল করলে তাকে শুধরে দাও, অন্ধভক্তি কোরো না! কৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার মাধ্যমে সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন। বন্ধু মানে কেবল হ্যাঁ-হ্যাঁ করলেই হবে না, তার জন্য ভালো কিছু করতে হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করতেও হবে!
৭. সত্যিকারের বন্ধুত্ব কখনো পুরোনো হয় না!
বন্ধুত্ব মানে শুধু প্রতিদিন চ্যাট করা নয়, বরং যখন দরকার তখন পাশে থাকা। কৃষ্ণ-সুদামার দেখা হয়েছিল বহু বছর পর, কিন্তু তাদের বন্ধুত্ব এক বিন্দুও পুরোনো হয়নি! তোমার বন্ধুত্ব কি সত্যিই সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকবে?
শেষ কথা:
বন্ধুত্ব গড়ার চাবিকাঠি কৃষ্ণের কাছেই ছিল। তার শিক্ষা নিয়ে তুমি কি তোমার বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করতে চাও? নীচে কমেন্টে বলো, তোমার বন্ধুত্বের সবচেয়ে মজার মুহূর্ত কোনটা? চল, বন্ধুদের সাথে মজা করি!