আমরা সবাই চাই অর্জুনের মতো লক্ষ্যভেদী হতে। কিন্তু ধৈর্য? উফফ, সেটা তো সোনার হরিণ! বিশেষ করে যখন মনের মধ্যে একগুচ্ছ রাগ আর খচখচানি ঘুরপাক খায়। কিন্তু জানো কি? ধৈর্য একটা সুপারপাওয়ার, যা একবার পেয়ে গেলে জীবন হয়ে উঠবে স্মুথ এবং ঝলমলে!
আজ আমরা তোমার জন্য নিয়ে এসেছি ৮টি সিক্রেট ট্রিকস, যা অনুসরণ করলে তুমিও অর্জুনের মতো ফোকাসড এবং ধৈর্যশীল হয়ে উঠবে।
১. “ডিপ ব্রেথ ইন, অ্যাংরি ফ্রাস্ট্রেশন আউট!”
শুধু শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করেই তুমি অনেক শান্ত থাকতে পারো। কষ্টকর সত্যি: যেই মুহূর্তে মেজাজ খারাপ হয়, তখনই আসলে গভীর শ্বাস নেয়া জরুরি। (কিন্তু কে শ্বাস মনে রাখে, তাই না?)
২. চকলেট খাওয়ার মতো ধৈর্য বাড়াও!
একটা সুস্বাদু চকোলেট খেতে যেমন আস্তে আস্তে মুখে গলিয়ে উপভোগ করতে হয়, তেমনি জীবনের কঠিন সময়েও একটু ধৈর্যের স্বাদ নাও। জোর করে নিজেকে শান্ত রেখে পরিস্থিতি সামলাও!
৩. ইন্টারনেটের ধীরগতির সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ করো!
তুমি যদি ওয়াইফাই স্লো হলে চেঁচামেচি করো, তবে খবর আছে! এই মূহূর্তে ধৈর্য ধরার অনুশীলন করো। স্ক্রিনের সামনে হাফ ছেড়ে বসে “ধীরে চলো নীতিতে” বিশ্বাস রাখো।
৪. বিরক্তিকর ক্লাসেও গুরুর মতো ধৈর্য ধরো!
তোমার সেই একঘেয়ে ম্যাথ ক্লাসটা মনে আছে? সেটাই ধৈর্য শেখার গোল্ডেন সুযোগ! নিজেকে বলো: “এটা একটা মাইন্ড গেম, আমাকে পারতেই হবে।”
৫. নখ কামড়ানো বাদ দাও!
ধৈর্যহীন হলে প্রথম যে কাজটা মানুষ করে, সেটা হলো নখ কামড়ানো। তুমি যদি এটা করতে থাকো, তাহলে ধৈর্যের লেভেল অটো ডাউন হয়ে যাবে! তাই আজই এই বাজে অভ্যাসটা বাদ দাও।
৬. টো-ডু লিস্ট বানিয়ে জয়ী হও!
অতিরিক্ত টেনশনে পড়লে ধৈর্য কমে যায়। তাই আগেভাগেই কাজের তালিকা তৈরি করে নাও, যাতে প্রতিটা কাজ সহজে করতে পারো।
৭. সোশ্যাল মিডিয়া ব্রেক নাও!
ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে গিয়ে তুমি ধৈর্য হারাচ্ছ? তাহলে একটু বিরতি নাও! নিজের শান্তি এবং ধৈর্যের জন্য সময় দাও।
৮. ছোট ছোট জয়ের আনন্দ উপভোগ করো!
একটা বই পড়া শেষ করেছো? কোনো কঠিন কাজ করে ফেলেছো? বাহ, তুমি সফল! ধৈর্যের আসল জাদু হলো ছোট ছোট অর্জনগুলো এনজয় করা।