তুমি কি জীবনের ঝটপট চপেটাঘাতে বেসামাল? বন্ধু, তুমি একা নও! মহাভারতের কুন্তীর মতো যদি কেউ বাস্তবতার কড়া ঠেলা খেয়ে থেকেন, তবে এই ব্লগটি তোমার জন্যই! কুন্তী, যিনি পাঁচ পাণ্ডবের মা, এমন সব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, যেগুলো ভাবলে আমাদের আধুনিক জীবনের সমস্যাগুলো ছোট মনে হবে। কিন্তু কীভাবে তিনি সামলেছিলেন সবকিছু? আজ তোমাকে বলব সেই ৮টি ধামাকেদার উপায়, যেগুলো কুন্তীর মতো তোমাকেও কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিতে সাহায্য করবে!
১. বাস্তবতাকে এড়িয়ে যেও না!
“আরে, আমি তো ভেবেই নেই যে সমস্যা আছে!” , না, না, এটা একদমই কুন্তী স্টাইল নয়! বাস্তবতা যতই কঠিন হোক, প্রথম কাজ হলো সেটাকে মেনে নেওয়া। কুন্তী যখন জানলেন কর্ণ তাঁরই সন্তান, তিনি তা এড়িয়ে যাননি। বরং মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সেই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হতে। সুতরাং, টকসিক বন্ধুত্ব, হার্টব্রেক, বা পরীক্ষার খারাপ ফল , যে যাই হোক, আগে মেনে নাও!
২. ধৈর্য ধরো, বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাও
কুন্তীর জীবনে চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিটা মোড়ে। কিন্তু তিনি কখনো আবেগে ভেসে যাননি। বরং ধৈর্য ধরে বুদ্ধিমত্তার সাথে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন জীবন পেঁয়াজের মতো চোখে জল আনে, তখন প্রথমে ধৈর্য ধরো। তারপর মাথা ঠান্ডা রেখে ভাবো কীভাবে সামলানো যায়!
৩. প্রয়োজন হলে চুপ থেকো
সব পরিস্থিতিতে কথা বলা জরুরি নয়। কখনো কখনো চুপ থাকাটাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কুন্তী অনেক সময় চুপ থেকেছেন, বিশেষ করে যখন কথা বলাটা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলত। তাই সবসময় প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
৪. নিজের শক্তিতে বিশ্বাস রাখো
তুমি যদি নিজেকেই দুর্বল ভাবো, তবে জীবনের ঝাপটা সামলাবে কীভাবে? কুন্তী জানতেন যে তিনি শক্তিশালী। তিনিই পাঁচ পাণ্ডবকে মানুষ করেছেন, বিপদে পাশে থেকেছেন। নিজেকে বলো, “তুই পারবি!”
৫. পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নাও
“নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো”, এই কথাটি শোনো নি? কুন্তী কখনোই পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেননি। বরং পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাই জীবনের রুক্ষতাকে বশে আনতে হলে, লড়াইয়ের পাশাপাশি মানিয়ে নেওয়াও শেখো!
৬. ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোলো
জীবনে অনেকেই কষ্ট দেবে, কিন্তু প্রতিশোধ নেওয়া সবসময় সমাধান নয়। কুন্তী কর্ণকে ক্ষমা করতে পেরেছিলেন, যদিও তাঁর নিজের জীবন ছিল ব্যথায় ভরা। ক্ষমা তোমার মনকে শান্তি দেবে এবং ভারমুক্ত করবে।
৭. নিরন্তর শিখতে থাকো
জীবন একটানা শেখার জার্নি। কুন্তী তাঁর জীবনের প্রতিটি অভিজ্ঞতা থেকে কিছু না কিছু শিখেছেন। তুমিও প্রতিটি চ্যালেঞ্জ থেকে শিখতে চেষ্টা করো। ভুল হলে শিখো, আবার চেষ্টা করো!
৮. ভালোবাসায় নিজেকে ঘিরে রাখো
সবচেয়ে বড় কথা, ভালোবাসার মানুষদের গুরুত্ব বোঝো। কুন্তী সবসময় তাঁর সন্তানদের জন্য বেঁচে ছিলেন, তাঁদের ভালোবাসায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। তোমার আশেপাশে যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কাছাকাছি থাকো।