৮টি উপায় দ্রৌপদীর মতো নিজের আত্মসম্মান রক্ষার!

তুই কি নিজেকে মাঝেমধ্যেই ‘লোক কী বলবে’ সিনড্রোমে ভুগতে দেখিস?
তোর বন্ধু, পরিবারের কেউ বা সোশ্যাল মিডিয়ার হেটাররা তোর আত্মবিশ্বাস খেয়ে নিচ্ছে নাকি?

গার্ল, এই লেখাটা তোর জন্যই।
আজ আমরা শিখবো, কীভাবে দ্রৌপদীর মতো গর্জে উঠতে হয়! যাকে রাজসভায় চুল ধরে টানা হয়েছিল, কিন্তু সে নিজের আত্মসম্মানকে রক্ষা করেছিল এমনভাবে, যেটা যুগের পর যুগ মেয়েদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।

তোর মাঝেও আছে সেই আগুন! শুধু একটু জ্বালাতে হবে।
চল, দেখি ৮টা কিলার উপায়, যেগুলো ফলো করলে কেউ আর তোকে ছোটো করার সাহস পাবে না!

১. “না” বলার আর্টটা শেখ গার্ল!

তুই মানুষ, ২৪ ঘন্টার রোবট না।
• যদি কারও বেহুদা আবদার তোকে অস্বস্তিতে ফেলে,
• যদি কেউ তোর সীমা ছাড়ায়,
তখন ঠান্ডা মাথায়, চোখে চোখ রেখে বলবি, “না।”
দ্রৌপদীও বারবার বলেছিল, “আমি রাজপত্নী, দাসী নই।”

 বল না শিখলে, সবাই তোকে চালাবে। তুই কি পুতুল নাকি?

২. তোর কণ্ঠস্বরটাকে অস্ত্র বানাস

“মেয়েরা চুপ করে থাকাটাই শালীনতা”, এই ডায়ালগ যারা দেয়, তাদের mute করে দে।

তুই ভদ্রভাবে কিন্তু দৃঢ় স্বরে তোর মত প্রকাশ করতে পারিস।
  Public speaking হোক বা WhatsApp group debate, তোর কথাগুলো যেন বোঝায়, “I know my worth!”

দ্রৌপদীও তো সেই সভায় একাই গর্জে উঠেছিল, ১০০টা কুরু পুরুষের সামনে!

৩. তোর সার্কেলটা পরিষ্কার কর

Toxic মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব মানে আত্মসম্মানের স্লো পয়জনিং।
  যারা তোকে বারবার নিচে নামায়,
  যারা তোকে “তোর তো কিছুই হবে না” বলে,
তাদের life থেকে CTRL + ALT + DELETE করে দে।

দ্রৌপদীর পাশে ছিল শ্রীকৃষ্ণ। তোরও দরকার একটা support system যেটা সত্যিই তোকে ভালবাসে।

৪. লুক নয়, বুক, মানে সাহসটা জরুরি

মেকআপ, হেয়ারস্টাইল, সুন্দর হওয়াটা মজার ব্যাপার।
কিন্তু সেখানেই যদি নিজের মূল্যটা আটকে রাখিস, তাহলে আত্মসম্মান খুঁজে পাবি না।

 তুই যেমন, তেমনই পারফেক্ট। তোর সাহসটাই হোক তোর আসল স্টাইল।

দ্রৌপদীর রূপ ছিল, ঠিকই। কিন্তু লড়াকু মনটাই ছিল তার ট্রেডমার্ক।

৫. সোশ্যাল মিডিয়াতে “পছন্দ” পাওয়ার পেছনে দৌড়াবি না

Like, React, Comments, সবই ঝলমলে ফাঁদ!
  আজ ১০০ রিয়্যাক্ট, কাল ২০, মানে কি তুই কম important হয়ে গেলি?

No babe!
  তুই যতটা powerful, তার জন্য validation লাগবে না।

দ্রৌপদী নিজের অস্তিত্ব নিয়ে কখনও compromise করেনি, তুইও করিস না।

৬. তোর boundary বানাস, লাইন টানিস

সবাইকে খুশি করার disease থেকে মুক্তি নে।
  কেউ তোর personal space ভাঙছে?
  কেউ তোর শরীর, পছন্দ বা জীবন নিয়ে judgmental?

বলবি স্পষ্টভাবে – “এটা আমার জীবন, আমি চালাব।”
দ্রৌপদী স্পষ্টভাবে বলেছিল, “এই সভায় আমায় টানার অধিকার কারও নেই।”

৭. “হেল্প চাওয়া” দুর্বলতা নয়, বুদ্ধিমত্তা

মেয়েদের বলা হয় – “সব নিজে সামলাও, কাঁদা যাবে না, hulp চাওয়া মানেই দুর্বলতা।”

 Seriously?
দ্রৌপদী কাকে ডাকেছিল মনে আছে?
শ্রীকৃষ্ণকে!

 তুইও দরকারে কাউকে বলিস, “আমি হেল্প চাই।”
কারণ smart girls always know when to ask for support.

৮. নিজের গল্পটা তুই-ই লিখবি, অন্য কেউ না

 মানুষ কথা বলবেই, কখনো dress নিয়ে, কখনো relation নিয়ে, কখনো তো exam result নিয়ে!

কিন্তু যেদিন তুই বুঝবি, “এই জীবন আমার, গল্পটা আমিই লিখব”, সেদিন থেকে তোকে কেউ আর থামাতে পারবে না।

দ্রৌপদী যদি যুগের পর যুগ ধরে inspiration হতে পারে, তুই কেন পারবি না বল তো?

শেষ কথা (না, এটা boring lecture না!)

দ্রৌপদী কেবল একটা পৌরাণিক চরিত্র না।
সে এক প্রতীক, একজন নারী যে জানত নিজের মূল্য, নিজের সম্মান, আর কখন কোথায় গর্জে উঠতে হয়।

 তুইও পারবি, যদি মন থেকে চাস।
নিজেকে ছোট ভাবিস না, কারণ তুই নিজেই একরকম আগুন!

তোর বন্ধুরা কি নিজের সম্মান নিয়ে বারবার আপোষ করে?
এই পোস্টটা ওদের সঙ্গে শেয়ার কর!
আর কমেন্টে লিখে জানাস, তুই কোন পয়েন্টটা আজ থেকেই নিজের জীবনে আনবি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top