আচ্ছা বলো তো, কখনো কি মনে হয়েছে তোমার জীবনটা মহাভারতের স্ক্রিপ্টের মতোই জটিল? বন্ধুরা কখনো অর্জুনের মতো ফোকাসড, কখনো শকুনির মতো কৌশলী, আর তুমি ভাবছো, “আমার জীবনটা এভাবে মহাভারত হয়ে উঠলো কীভাবে?”
ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কৌশল যদি শ্রীকৃষ্ণের মতো জানা থাকতো, তবে কি মজা হত না? এবার চিন্তা নেই! আজ জানবো মহাভারতের ৮ জন দারুণ চরিত্র থেকে কিভাবে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
১. শ্রীকৃষ্ণের মতো স্ট্র্যাটেজি বানাও!
জীবনে জটিল পরিস্থিতিতে পড়লে শ্রীকৃষ্ণের মতো বুদ্ধি খাটাও। ঠান্ডা মাথায়, সঠিক সময়ে, সঠিক কথা বলো। আরেকটু সহজ করে বলি, প্ল্যান বি, সি, আর ডি রেডি রাখো!
২. অর্জুনের মতো ফোকাসড থাকো!
বন্ধুর জন্মদিনে কী গিফট দেবে, সেটা ভাবার চেয়ে জীবনের বড় বড় লক্ষ্যগুলোর দিকে ফোকাস করো। যেমন অর্জুন পাখির চোখ দেখেছিল, তুমিও তোমার গোলটা দেখো, আর বাকি সব ইগনোর!
৩. দ্রৌপদীর মতো আত্মবিশ্বাসী হও!
নিজের জন্য স্ট্যান্ড নেওয়া শিখো। কেউ যদি তোমার আত্মমর্যাদার ওপর হাত তোলে, দ্রৌপদীর মতো গর্জে উঠো, কিন্তু শব্দের শক্তি দিয়ে!
৪. ভীষ্মের মতো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হও!
নিজেকে কথা দাও এবং সেটা রাখো। আজ থেকে ঠিক করো, ‘আর কোনো মিসড ডেডলাইন নয়!’, আর ভীষ্মের প্রতিজ্ঞার মতো সেটাকে শক্তভাবে ধরে রাখো।
৫. কর্ণের মতো উদার হও, তবে বুদ্ধি খাটাও!
দান-ধ্যান ভালো, কিন্তু নিজের সেফটির দিকে নজর দেওয়া আরো ভালো। নিজের সীমানা ঠিক করো এবং সবার হ্যাঁ-বাবা হতে যেয়ো না।
৬. যুধিষ্ঠিরের মতো সত্যবাদী হও, কিন্তু বোকা নয়!
সত্যি বলা অবশ্যই ভালো অভ্যাস, কিন্তু মনে রেখো, কূটনীতিও জীবনের অংশ। সব সত্যি বললে মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হতে পারে, তাই আগে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করো।
৭. কুন্তীর মতো পরিস্থিতি মেনে নাও!
জীবনে সব সময় মাখন-চিনি পাওয়া যায় না। কুন্তীর মতো জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মেনে নিয়ে এগিয়ে যাও, কারণ সুখ-দুঃখের দোলাচলেই জীবনের আসল মজা!
৮. শকুনির মতো চালাক হও, কিন্তু নেতিবাচক নয়!
শকুনির কৌশলবুদ্ধি চমৎকার ছিল, কিন্তু তার উদ্দেশ্যটা ভুল ছিল। তুমি তার মতো কৌশলী হও, তবে সেটা যেন মানুষের মঙ্গলেই কাজে লাগে।
শেষ কথা:
জীবনকে কুরুক্ষেত্রের মতো কঠিন মনে হলেও, মহাভারতের চরিত্রদের মতো বুদ্ধি, ধৈর্য, আর কৌশল নিয়ে এগোলে বিজয় তোমার হবেই!