জীবনে কঠিন সময় আসবেই, আর আমরা সবাই একটু-আধটু ‘Drama Queen’ হতে ভালোবাসি, ঠিক না? কিন্তু যখন আসলেই জীবন নাটকের মঞ্চে আমাদের কেন্দ্রবিন্দু বানিয়ে দেয়, তখন কি করব? ইয়ে..মা দ্রৌপদীর থেকে শিখব!
হ্যাঁ, মহাভারতের সেই দ্রৌপদী! যাকে জীবন এমন টুইস্ট আর টার্ন দিয়েছে যে, বলিউডের স্ক্রিপ্ট রাইটাররাও অবাক হয়ে যাবে! তাহলে চলুন দেখি, কীভাবে আমরা তার জীবন থেকে এই ৮টি শিক্ষা নিয়ে আমাদের জীবনের কঠিন সময়গুলো সামলাতে পারি!
১. ‘Drama’ নয়, ‘Dharm’ এ থাকো!
দ্রৌপদী যখন সভায় অসম্মানিত হচ্ছিল, সে কান্নাকাটি করে বসে থাকেনি। বরং সে প্রার্থনায় মন দিয়েছিল। তার শক্তি ছিল তার ধর্ম। আমাদেরও ঠিক তেমনই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের শক্তি খুঁজে নিতে হবে।
২. বন্ধুরা বেছে নাও, ফ্যাশন নয়, ফিউচার দেখে!
দ্রৌপদীর পাঁচ পাণ্ডব স্বামী ছিলেন, যারা কঠিন সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। আর আমরা? আমাদের বেস্টি কাকে বানাচ্ছি, তা নিয়ে একটু ভেবে দেখা দরকার।
৩. বড় কিছু হারালে, নিজেকে ছোট মনে কোরো না!
রাজসূয় যজ্ঞের পর দ্রৌপদী রাণী থেকে দাসী হয়ে গেল। কিন্তু তার আত্মবিশ্বাস এতটুকু কমেনি। জীবন কখনও কখনও আমাদের দেবে, আবার কেড়ে নেবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে।
৪. প্রতিশোধে নয়, প্রজ্ঞায় বিজয়!
দ্রৌপদী চাইলে প্রতিশোধ নিতে পারত, কিন্তু সে অপেক্ষা করেছিল ন্যায়বিচারের। আমাদেরও উচিত প্রতিশোধ না নিয়ে কৌশলগত বুদ্ধি প্রয়োগ করা।
৫. সমস্যার সামনে দাঁড়াও, পালিয়ে যেও না!
বনবাসের সময় সে শুধু নিজেদের জন্যই ভাবেনি, বরং পুরো পরিবারকে সামলেছে। আমরাও যদি সমস্যার সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াই, তাহলে সমস্যা নিজেই লজ্জা পাবে!
৬. হাসিমুখে কষ্টকে আলিঙ্গন করো!
দ্রৌপদী কখনও কষ্টে ভেঙে পড়েনি, বরং সে প্রতিটা সমস্যাকে সুযোগে পরিণত করেছিল। যদি আমরা কষ্টকে আলিঙ্গন করি, তাহলে আমাদের জীবনের গল্পও একদিন লিজেন্ডারি হবে!
৭. বুদ্ধিমত্তার অস্ত্র নিয়ে চলো!
দ্রৌপদী শুধু সুন্দরীই ছিলেন না, তিনি বুদ্ধিমতীও ছিলেন। আমাদেরও সৌন্দর্যের পাশাপাশি মস্তিষ্ককে শাণিত করতে হবে। কারণ জীবন তো “ব্রেইন vs বিউটি” কুইজ শো!
৮. নিজেকে ভালোবাসো, সব কিছুর ওপরে!
সব কষ্টের পরও দ্রৌপদী কখনও নিজেকে দোষ দেয়নি। আমাদেরও উচিত, নিজেকে দোষ না দিয়ে বরং নিজেকে আরও ভালোবাসা।