জীবন কখনো কখনো আমাদের সামনে এমন কিছু পরিস্থিতি ছুড়ে দেয়, মনে হয় যেন আমরা মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে আছি! আরে বাবা, সত্যিই তো! কুরুক্ষেত্রের সেই ধুলোবালি উড়ানো যুদ্ধক্ষেত্র না হলেও, আমাদের চারপাশে প্রতিদিন ছোটখাটো মহাভারত তো লেগেই আছে!
চিন্তা নেই! আজ আমরা শিখব ৯টি জবরদস্ত উপায়, যাতে মহাভারতের মতো কঠিন পরিস্থিতিকেও সামলানো যায় আর নিজেকে একেবারে দ্রৌপদীর মতো স্মার্ট এবং অর্জুনের মতো ফোকাসড রাখা যায়!
১. ধৈর্য রাখুন, ভীমের মতো নয়!
হ্যাঁ, ভীমের রাগ দেখে তো আমরা সবাই জানি, তিনি এক চাপে শতপুত্র ধ্বংস করতে পারেন! কিন্তু বাস্তব জীবনে ভীমের মতো রাগলে চাকরি যাবে, সম্পর্ক ভাঙবে, আর পাড়া-প্রতিবেশীও মুখ ঘুরিয়ে নেবে। তাই, যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আগে ধৈর্য ধরে ভাবুন। রাগের মাথায় নয়, ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন।
২. অর্জুনের মতো লক্ষ্য স্থির করুন
জীবনে বড় ঝড় আসুক বা ছোট, অর্জুনের মতো শুধুই লক্ষ্য দেখুন। চারপাশের কোলাহল, সমস্যার পাহাড়, এ সব উপেক্ষা করে আপনার লক্ষ্য পূরণে অবিচল থাকুন।
৩. কৃষ্ণের মতো কূটনীতি শিখুন
সবসময় সরল পথে না হাঁটলেও চলে! কৃষ্ণ যেমন সময়মতো কূটনীতি করে পান্ডবদের রক্ষা করেছিলেন, তেমনি আপনাকেও মাঝে মাঝে একটু কৌশলী হতে হবে। “হ্যাঁ” বলতে ইচ্ছে না হলে, স্মার্টলি “না” বলুন!
৪. দ্রৌপদীর মতো আত্মসম্মান বজায় রাখুন
দ্রৌপদীর জীবনে অনেক ঝড় এসেছিল, কিন্তু তিনি কখনো আত্মসম্মান হারাননি। জীবনে যাই হোক, নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন। অন্য কেউ আপনাকে ছোট করলে, মনে রাখবেন, আপনি নিজেই নিজের শক্তি।
৫. বিদুরের মতো পরামর্শদাতা বেছে নিন
জীবনে সবসময় এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা বিদুরের মতো সঠিক পরামর্শ দেন। তাঁদের চিনে রাখুন, এবং যখনই পরিস্থিতি কঠিন হবে, তাঁদের শরণাপন্ন হন।
৬. যুধিষ্ঠিরের মতো সত্যে অটল থাকুন
যুধিষ্ঠিরের জীবনে অনেক পরীক্ষা এসেছিল, কিন্তু তিনি সবসময় সত্যের পথেই থেকেছেন। জীবনে ছোটখাটো লাভের জন্য মিথ্যা বলবেন না, এতে বড় ক্ষতি হতে পারে।
৭. সাহসী হন, অভিমন্যুর মতো
অভিমন্যু চক্রব্যূহে ঢুকেছিল সাহস নিয়ে, যদিও বের হতে পারেনি, কিন্তু তাঁর সাহস আজও উদাহরণ হয়ে আছে। জীবনের কোনো চ্যালেঞ্জকেই ভয় পাবেন না। সাহস নিয়ে লড়াই করুন।
৮. কর্ণের মতো দানশীল হোন, তবে বুদ্ধি দিয়ে
কর্ণ ছিলেন অমিত দানশীল, কিন্তু সবসময় বুদ্ধি করে নয়! আপনি যদি সাহায্য করতে চান, অবশ্যই করুন, কিন্তু আগে নিজেকে বাঁচান। কারো জন্য এমন কিছু করবেন না যাতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
৯. শিখুন শকুনির ভুল থেকে
হ্যাঁ, শকুনি ছিলেন মহাভারতের সবচেয়ে বড় নেগেটিভ ক্যারেক্টার, কিন্তু তাঁর কূটনীতি এবং প্ল্যানিং ক্ষমতা দারুণ ছিল। তবে, তাঁর ভুলগুলি থেকে শিখুন, নেগেটিভিটি জীবন থেকে সরিয়ে দিন, কিন্তু স্মার্টনেস বজায় রাখুন!
আপনার পছন্দের উপায় কোনটি?
মহাভারত আমাদের শুধু ইতিহাস শেখায় না, জীবনের প্রতিটা ধাপে কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে, তাও শেখায়।