এই লেখাটা তুমি পড়ে ফেললে, নিজের পুরনো স্লো মোশন ভার্সনটা আর কখনো ফিরে পাবে না।
কারণ আজ তুমি শিখবে, কিভাবে শিখণ্ডীর মতো নিজের পরিচয় কনফিডেন্স দিয়ে গড়ে তুলতে হয়!
হ্যাঁ, সেই শিখণ্ডী! মহাভারতের সেই দুঃসাহসী চরিত্র, যে সমাজের চোখ রাঙানিকে থোড়াই কেয়ার করে নিজের পরিচয় নিজেই তৈরি করেছিল! সে কেবল একটা পৌরাণিক নাম নয়, সে একটা বিপ্লব!
তো, রেডি গার্ল?
চলো, নিজের ইনার শিখণ্ডীকে জাগিয়ে তুলি এই ৯টি দারুন অ্যাকশন প্ল্যান দিয়ে!
১. নিজের গল্প নিজেই লিখো
কারো ভাই, কারো মেয়ে, কারো বউ – এসব “ট্যাগ” আর কতকাল চলবে বলো?
শিখণ্ডী কখনো “কে কী বলবে” ভেবে থামেনি। সে নিজের গল্প নিজের মতো লিখেছে, আর সেটা ছিল পিওর BADASS!
কাজের টিপ: একখানা ডায়েরি নিয়ে বসো। লিখে ফেলো– তুমি কে, কী চাও, কোথায় যেতে চাও।
তোমার গল্প তুমি লেখো। অন্যদের হাতে কলম দিও না!
২. “না” বলতে শিখো – মন থেকেই!
“না” বলাটা কেমন যেন অন্যায় লাগে, তাই না?
But guess what?
“না” হলো তোমার সীমানা, আর এই বাউন্ডারিটা কেউ না কেউ ভাঙবেই, যদি তুমি না পাহারা দাও।
কাজের টিপ: প্র্যাকটিস করো! আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো – “না, আমি এটা করবো না।”
সাবধান, প্রথমবার বললে পাড়ার পিসিমাও হকচকিয়ে যাবে!
৩. নিজের পছন্দকে সম্মান দাও
তুমি যদি হেভি মেকআপ করতে ভালোবাসো – করো! যদি ছেলেদের মতো হেয়ার কাট চাও – গিয়ে কেটে ফেলো!
তোমার পছন্দ, তোমার লাইফ, তোমার রুলস!
কাজের টিপ: অন্যরা যেটা বলে “অদ্ভুত”, সেটাই হতে পারে তোমার ইউএসপি।
একে জড়িয়ে ধরো। ওটাই তোমার সুপারপাওয়ার!
৪. তুমি “বিষয়বস্তু” নও – তুমি বিষয়ে বসুন্ধরা!
তুমি কেউর জন্য “বিয়ের উপযুক্ত”, “কম কথা বলা যায়”, বা “ভদ্র মেয়ে” হবার প্রজেক্ট নও।
তুমি এক বিশাল মহাবিশ্ব, যেখানে নিজের মত করে ঝড় উঠে, রোদ ওঠে, বৃষ্টি নামে।
কাজের টিপ: যখন কেউ তোমার শরীর, পোশাক বা সাউন্ড ভলিউম নিয়ে কমেন্ট করবে, মনে রেখো –
তারা শুধু তোমার স্পার্কে চোখ ধাঁধিয়ে গেছে!
৫. ভয়? ওটা পুরোনো ফ্যাশন!
ভয় পেয়ে চুপ করে বসে থাকলে তুমি শিখণ্ডী হতে পারবে না, বেবি!
তুমি হবে তখন সমাজের সাইলেন্ট মোড ভার্সন।
কাজের টিপ: একটা জিনিস বেছে নাও যেটা করতে ভয় পাও – পাবলিক স্পিকিং? একা সিনেমা দেখা?
করো! ছোট ছোট সাহসিকতাই একদিন তোমাকে কিংবদন্তি করে তুলবে!
৬. নো অ্যাপলজি ফর বিয়িং ইউ
কাউকে “সরি, আমি একটু বেশি কথা বলি” বা “সরি, আমি একটু সরাসরি” বলা বন্ধ করো।
কাজের টিপ: পরের বার যখন কারো মুখ চুপ করিয়ে দিতে মন চাবে, শুধু বলো –
“ওহ, আমি নিজেকে হালকা করে দেই না। তোমার যদি বেশি লাগে, হেডফোন পরো!”
৭. তোমার ‘টিম শিখণ্ডী’ বানাও
শিখণ্ডী একা লড়েছিল ঠিক, কিন্তু তার পাশে ছিল দ্রুপদ, অর্জুন, কুন্তী – যারা তাকে বুঝেছিল।
কাজের টিপ: খুঁজে বের করো এমন ৩-৪ জন বন্ধুকে, যারা তোমার পাগলামো, বুদ্ধি, রাগ – সবকিছুকে সম্মান করে।
তাদের ধরে রাখো। বাকি সব আনসাবস্ক্রাইব!
৮. তুমি কোনো “ফিনিশড প্রোডাক্ট” নও
তুমি এখনও তৈরী হচ্ছো, প্রতিদিন। তাই ভুল হতেই পারে।
কিন্তু ভুল করাটা তোমার দুর্বলতা নয়, তোমার হিউম্যান ভিক্টরি!
কাজের টিপ: প্রতিদিন নিজেকে বলো – “আজ একটু ভালো হবো কালকের আমির চেয়ে।”
৯. নিজের নাম, নিজের পরিচয় – জোরে বলো
শিখণ্ডী পরিচয় বদলেছিল, কারণ সমাজ তাকে মেনে নেয়নি।
তুমি পরিচয় বদলাবে না – তুমি বলবে জোরে জোরে,
“আমি এই আমি, আমাকে নাও বা যাও!”
কাজের টিপ: সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্টোরি শেয়ার করো, ছবি দাও, ক্যাপশনে তোমার নিজের ভাষা ব্যবহার করো।
তোমার নামটাই হোক একটা স্টেটমেন্ট!
এখন তোমার পালা!
শিখণ্ডীর মতো নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে সবচেয়ে জরুরি – তোমার সাহস, তোমার সত্য আর তোমার স্বর।
তুমি কি রেডি সেই মেয়ে হতে, যার গল্প শুনে অন্য মেয়েরা সাহস পায়?
তাহলে কমেন্টে লিখো – “আমার পরিচয়, আমার গর্ব!”
আর শেয়ার করো সেই বন্ধুটার সাথে, যে আজ একটু সাহস খুঁজছে।