গন্ধারী! মহাভারতের সেই মহীয়সী নারী, যার ধৈর্য দেখে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণও প্রশংসা করেছিলেন! হ্যাঁ, তুমি ঠিকই পড়ছো। চোখ বেঁধে রাখা শুধু তার বাহ্যিক রূপ ছিল, আসল শক্তি লুকিয়ে ছিল তার অন্তরের ধৈর্যে। আজকের এই মডার্ন যুগেও, যদি তুমি গন্ধারীর মতো ধৈর্য ধরতে পারো, তোমার জীবন সহজেই ‘বস লেভেল’ এ চলে যাবে!
চলো, দেখে নিই গন্ধারীর মতো ধৈর্য ধরার ৯টি মজাদার এবং কার্যকরী টিপস!
১. “চোখ বেঁধে থাকা” মানে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি!
গন্ধারী যেমন চোখ বেঁধে তার জীবন যাপন করতেন, ঠিক তেমনই মাঝে মাঝে তোমাকেও চোখ বেঁধে রাখতে হবে! না, না, আক্ষরিক অর্থে নয়, বরং তোমার ফোন থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ড্রামা, তুলনা এবং নেতিবাচকতায় ডুবে না গিয়ে নিজেকে একটু সময় দাও।
২. “সব কিছুর নিয়ন্ত্রণে থাকা” মানে ধৈর্য শেখা
তোমার চারপাশে হাজারো সমস্যা আসবে, ঠিক যেমন কৌরবরা ছিল গন্ধারীর জীবনে। কিন্তু গন্ধারী সবসময় তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। তুমি যদি ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারো, তবে তুমি সত্যিই ‘ধৈর্যের রানী’!
৩. “তুলনা নয়, প্রশংসা করো”
গন্ধারী কখনো কুন্তীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেননি। বরং তিনি কুন্তীকে সম্মান দিয়েছিলেন। তুমিও তোমার আশেপাশের মেয়েদের সঙ্গে তুলনা না করে তাদের সাফল্য উদযাপন করো। এতে তোমার মানসিক শান্তি বাড়বে!
৪. “চাপ সামলানো” মানে ড্রামা থেকে দূরে থাকা
গন্ধারীর জীবনে যতই চাপ আসুক, তিনি কখনো অযথা ড্রামায় জড়াননি। তুমি যখন দেখবে তোমার জীবনে অযথা ড্রামা বাড়ছে, তখনই নিজেকে সরিয়ে নাও। ড্রামা কুইন হওয়ার দরকার নেই!
৫. “সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নাও”
গন্ধারী কখনো তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেননি। তুমিও যখনই কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাও, একটু সময় নিয়ে ভেবে দেখো। এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমবে!
৬. “ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে কাঁদো না”
গন্ধারী তার ১০০ সন্তানের মৃত্যুর পরও নিজেকে সামলে ছিলেন। আমরা তো সামান্য বিষয়েই ভেঙে পড়ি! জীবনে কিছু ছোটখাটো সমস্যাকে বড় করে দেখার দরকার নেই।
৭. “আস্থা রাখো নিজের উপর”
গন্ধারী সবসময় নিজের শক্তির উপর আস্থা রেখেছিলেন। তুমিও নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো। যদি কেউ তোমাকে ডাউন ফিল করায়, তুমি তাকে বলো, “আমার ভগবান আমার পাশে আছেন!”
৮. “ভালোর জন্য অপেক্ষা করো”
গন্ধারী জানতেন, সবকিছুই সময় মতো হবে। তুমিও যদি আজ কিছু না পেয়েও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করো, ভবিষ্যতে ভালো কিছুই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে!
৯. “সব কিছুর শেষে শান্তি”
গন্ধারী তার জীবনের সব সমস্যার পরও শান্ত ছিলেন। তুমিও যদি জীবনের ঝড়ঝাপটা পার করে নিজের মধ্যে শান্তি খুঁজে পাও, তবে তুমিও ধৈর্যের পরীক্ষায় পাশ করবে!