৮টি শিক্ষা সুভদ্রার মতো নিজের অধিকার রক্ষা করার! 

ও হ্যাঁ, দৃষ্টি আকর্ষণ!
তুমি কি এমন একটা মেয়ে, যাকে সবাই “ভদ্র মেয়ে” হওয়ার প্রেসার দেয়?
যেখানে তুমি চুপ থাকো, হাসো, না বললেও “হ্যাঁ” বলো ,
অথচ ভিতরে ভিতরে তুমি চিৎকার করো ,  “আমি কি কোন বোবা চরিত্র?” 

তাহলে সুভদ্রা তোমার জন্য একটা বড়ো অনুপ্রেরণা হতে পারে।
না, সে শুধু অর্জুনের স্ত্রী বা কৃষ্ণের বোন ছিল না।
সে ছিল স্বাধীনচেতা, সাহসী, আর চুপচাপ থেকে দুনিয়াকে শক দেওয়া এক রোল মডেল!

তাই আজকে থাকছে ,
  “৮টি ধামাকাদার শিক্ষা, যেগুলো সুভদ্রার মতো নিজের অধিকার রক্ষা করতে তোমার শেখা দরকার!”
সাবধান! এটা শুধু একটা ব্লগ না, এটা তোমার আত্মার কফিন ভাঙার হাতুড়ি! 

১. নিজের জীবন নিয়ে ডিসিশন নিতে শিখো – পুতুল না তুমি!

সুভদ্রা একেবারে রাজকুমারীর মতো বড়ো হলেও, সে নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছিল।
আর তুমি?
তুমি কি এখনও “লোকে কী বলবে” সিন্ড্রোমে ভুগছো?
অভ্যাস বদলাও! জীবন হলো তোমার স্টেজ ,  অন্যদের চাহিদার নাটক না! 

২. পছন্দ হলে ছিনিয়ে নাও (অবশ্যই সম্মতির সাথে!)

সুভদ্রা অর্জুনকে পছন্দ করতো, এবং সে অর্জুনের হাত ধরে পালিয়েও গেলো!
এখন, আমরাও বলছি না যে কাউকে নিয়ে পালিয়ে যাও,
কিন্তু পছন্দ-অপছন্দ স্পষ্টভাবে বলা শিখো।
“আই হ্যাভ চয়েস” ,  এটা একটা জ্ঞানবাক্য না, এটা একটা ওয়ার ক্রাই! 

৩. নীরবতা সবসময় ভদ্রতা না ,  মাঝে মাঝে সেটা আত্মহত্যার প্রথম ধাপ!

তোমার অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে, “চুপ করে থাকো” ,  এই পরামর্শ দিওয়ালে ছুঁড়ে মারো।
তোমার মুখে শব্দ আছে, মানে সেটা ইউজ করার জন্যই।
জাস্ট স্পিক আপ, বেবি! 

৪. মিথ্যে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল চিনতে শেখো

“তুমি মেয়ে হয়ে এমন করো?”
“তুমি তো ছোটো বোন!”
এইসব ডায়লগে কান দিয়ো না।
সুভদ্রার পুরো পরিবার রাজনীতি করত, কিন্তু ও নিজের আলাদা রাস্তা বেছে নিয়েছিল।
তুমিও পারো ,  শুধু চোখ খোলা রাখতে শেখো। 

৫. সেফ স্পেস খোঁজো, কারণ সব হাসি সৎ হয় না

যেখানে তুমি নিজের মতো থাকতে পারো, কথা বলতে পারো ,
সেই লোকগুলোকে খুঁজে বের করো।
সুভদ্রার ভাই কৃষ্ণ ,  সে ছিল ওর বড়ো সাপোর্ট সিস্টেম।
তোমার কৃষ্ণ কে? খুঁজে নাও। না হলে নিজেই নিজের কৃষ্ণ হয়ে যাও! 

৬. ‘না’ বলাটা অপরাধ না ,  এটা একটা পূর্ণ বাক্য!

সুভদ্রা জানতো সে কী চায়, আর কী চায় না।
তুমি কেন পারবে না?
যদি কেউ তোমার জায়গা, সময়, সম্মান বা ভালোবাসা একতরফাভাবে দাবি করে ,
তখন স্পষ্টভাবে বলো “না”! বলার পর মাথা নিচু না করে বুক টান করে হাঁটো! 

৭. তোমার গল্প তুমি লিখবে ,  অন্য কেউ না!

সুভদ্রা নিজের জীবন নিজের মতো করে বেছে নিয়েছিল।
তোমার জীবনের ক্যারেক্টার, প্লট, ক্লাইম্যাক্স ,
সবকিছু তোমার হাতে
ডিরেকশন অন্য কেউ দিলে, হ্যাপি এন্ডিং আশা করো না! 

৮. ভুল করো, কিন্তু ভুলের মালিকানা নিতে শেখো

তোমার সিদ্ধান্ত যদি ভুলও হয়, তাও সেটা তোমার ছিল, তাই সেটা নিয়েই গর্ব করো।
সুভদ্রা রিস্ক নিয়েছিল, কারণ সে জানতো ,
জীবন একটা খেলার মাঠ, কোণায় দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকা নয়! 

শেষ কথা:

তুমি যদি এখনো ভাবো,
“আমি তো সুভদ্রা না…”
তাহলে মনে রাখো ,  তুমি ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছো, যেখান থেকে এক নতুন সুভদ্রা তৈরি হতে পারে।

 তোমার জীবনের কোন জায়গায় তুমি সুভদ্রার মতো হতে চাও?
কমেন্টে জানাও, আমরা একসাথে লড়বো ,  একসাথে বদল আনবো! 

শেয়ার করো এই পোস্টটা, যদি তুমি সত্যিই চাও তোমার বান্ধবীরাও নিজের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলুক!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top